নিজের কিডনি বেচার জন্য তিন দিন ধরে যশোরের বিভিন্ন হাসপাতালে ক্রেতা খুঁজে বেড়ানো এক যুবককে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে রোববার বিকেলে তাকে আটক করা হয়। বর্তমানে তিনি যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
ওই যুবকের নাম বাপ্পী মোল্লা। তিনি ঝিনাইদহের নারকেলবাড়িয়া গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে। পেশায় তিনি দিনমজুর।
বাপ্পী মোল্লা নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, চার ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। তিনি ও তার দরিদ্র বাবা এলাকায় অন্যের জমিতে দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন। চার মাস আগে বিয়ে করেন তিনি। কৃষিকাজ করে সংসার ভালোমতো না চলায় পরে স্ত্রী তাকে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালানোর পরামর্শ দেন।
সেই পরামর্শে বাপ্পী তার বাবার কাছে মোটরসাইকেল কেনার টাকা চান। তবে বাপ্পীকে মোটরসাইকেল কিনে না দিয়ে তার বাবা ছোট ভাই সাগরকে মোটরসাইকেল কিনে দেন।
তিনি আরও জানান, এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বাবার সঙ্গে তার বাগ্বিতণ্ডা হয়। সেই দিনই পারিবারিক কলহের কারণে বাবার বাড়িতে চলে যান তার স্ত্রী। এরপর বাবার ওপর রাগ করে মোটরসাইকেল কিনে বাড়িতে ফিরবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেন তিনি।
বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর গত তিন দিন ধরে তিনি ঝিনাইদহ ও যশোরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে কিডনির ক্রেতা খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন। রোববার যশোর জেনারেল হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে কিডনির ক্রেতা খোঁজার সময় ওয়ার্ডবয়রা তাকে হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের হাতে তুলে দেন।
হাসপাতালে দায়িত্বরত কনস্টেবল সৌরভ বলেন, ঝিনাইদহের ওই যুবক নিজের কিডনি বিক্রি করবেন বলে ক্রেতা খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে তাকে আটক করে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।