যশোরের ঝিকরগাছায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট না দিলে ভোটের দিন কেন্দ্রে না গিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে গরু-মুরগি খেতে যেতে বলেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম।
ঝিকরগাছা সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আমির হোসেনের নির্বাচনি জনসভায় শুক্রবার এ কথা বলেন তিনি।
মনিরুলের এমন বক্তব্যের অডিও ক্লিপসহ যশোর জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেছেন ওই ইউপিতে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল বারিক। তিনি উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
অডিও ক্লিপটা পেয়েছে নিউজবাংলা। সেখানে মনিরুলকে বলতে শোনা যায়, ‘লাউজানী, শ্রীরামপুরের মানুষ ২০১৯ সালে ডা. নাসির উদ্দিন (সংসদ সদস্য) বিজয়ী হওয়ার পর থেকে শান্তিতে রয়েছে। কিন্তু নৌকার প্রার্থী জিততে না পারলে, নৌকার কর্মীদের জামাত-বিএনপি আগের মতো শান্তি থাকতে দেবে না।
‘তাই নৌকা মার্কায় ভোট না দিলে ভোটের মাঠে আসার দরকার নেই এবং আসলে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারতে হবে। যদি নৌকায় ভোট না দেয়ার ইচ্ছা থাকে তাইলে আত্মীয়ের বাড়ি গিয়ে মুরগি-গরু খান, শান্তিতে থাকেন।’
এ বিষয়ে নৌকার প্রার্থী আমির হোসেন বলেন, ‘নেতা কী বলেছেন সেটা তিনি ভালো জানেন। আমি খেয়াল করিনি।’
ওই দিন নির্বাচনি সমাবেশের কথা অবশ্য স্বীকার করেছেন তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামও। তিনি বলেন, ‘আমি এ ধরনের কোনো বক্তব্য দেইনি। এ সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।’
অভিযোগকারী স্বতন্ত্র প্রার্থী বারিক জানান, উপজেলা চেয়ারম্যানের ওই বক্তব্যের পর তার কর্মীরা ভয়ে আছেন। এজন্য নিজের এবং কর্মীদের নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।
যশোরের পুলিশ সুপার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানা নির্বাচন কর্মকর্তা, রিটার্নিং অফিসার এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে অভিযোগের অনুলিটি দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।