লঞ্চের ভাড়া এক-তৃতীয়াংশের বেশি বাড়ানোর পর ধর্মঘট তুলে নিয়েছেন লঞ্চমালিকরা। এরই মধ্যে রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ভিড়তে শুরু করেছে লঞ্চ।
নিউজবাংলাকে রোববার সন্ধ্যায় ধর্মঘট তুলে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি শহীদুল ইসলাম ভূঞা।
শহীদুল ইসলাম ভূঞা বলেন, ‘ধর্মঘট তুলে নেয়া হয়েছে। আজ রাত থেকেই লঞ্চ চলাচল শুরু হবে। সময়সূচি অনুযায়ী যেসব জায়গায় লঞ্চগুলো যায় সেগুলো চলাচল শুরু করবে।’
ভাড়া বৃদ্ধির ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘১০০ কিলোমিটারের বেশি গন্তব্যের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে ২ টাকা করে এবং ১০০ কিলোমিটারের কম গন্তব্যের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে ২ টাকা ৩০ পয়সা করে ভাড়া গ্রহণ করা হবে।’
বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাতে চাঁদপুর, ভোলা ও আশপাশের যে রুটগুলো আছে এবং বরগুনার লঞ্চও ভিড়েছে। সে ক্ষেত্রে যেগুলো বিকেলে যাওয়ার কথা ছিল তাদের মধ্যে কিছু লঞ্চ এখন ছেড়ে যাবে।
‘ইতোমধ্যে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়ে গেছে। কিছু কিছু লঞ্চ ভিড়েছে ঘাটে।’
গত বুধবার মধ্যরাত থেকে ডিজেলের দাম বাড়ানোর প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে পণ্যবাহী গাড়ি এবং শুক্রবার থেকে বাস বন্ধ হয়ে গেলেও লঞ্চ চলাচল ছিল স্বাভাবিক। তবে ভাড়া দেড় গুণ করার দাবিতে শনিবার থেকে লঞ্চ চালানোও বন্ধ করে দেয়া হয়।
বাস ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করতে রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে সড়ক পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ। সিদ্ধান্ত হয় আন্তজেলা রুটে ২৭ শতাংশ এবং নগর পরিবহনে ২৬ শতাংশ ভাড়া বাড়বে। তবে সিএনজিচালিত বাসের ভাড়া বাড়বে না।
অন্যদিকে মতিঝিলে নৌপরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যালয়ে বৈঠক শুরু হয় বেলা সাড়ে তিনটায়। লঞ্চমালিকরা শতভাগ ভাড়া বাড়ানোর দাবি নিয়ে এই বৈঠক শেষে জানানো হয়, ভাড়া বাড়বে ৩৫ শতাংশ।
সেই বৈঠক শেষেই লঞ্চ ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া হয়।