বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কারখানায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: চেনার উপায় নেই তাদের

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৭ নভেম্বর, ২০২১ ২০:০৭

আজিমের বোন চুমকি জানান, মা-বাবা, এক ভাই ও বোন নিয়ে সংসারে আজিমই একমাত্র উপার্জনক্ষম। শরীরের বেশির ভাগই পুড়ে গেছে তার ভাইয়ের। এখন একমাত্র আল্লাহই জানেন তাদের ভাগ্যে কী আছে।

মোংলায় বসুন্ধরা এলপিজি ফ্যাক্টরিতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহত ইমরান ও আজিমের অবস্থা ভালো নয়। শরীরের ৫৪ থেকে ৬০ ভাগ পুড়ে গেছে তাদের। ঝলসে গেছে মুখ, বুক ও হাত। শ্বাসনালিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সারা শরীরে ব্যান্ডেজ বাঁধা ইমরান ও আজিমকে চেনাই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। উপার্জনক্ষম সদস্যের এমন অবস্থায় তাদের পরিবারের দিন কাটছে উৎকণ্ঠায়।

বসুন্ধরার ওই কারখানায় শনিবার গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহত হন ছয় শ্রমিক। তাদের মধ্যে নূর আলম ও হাসান শিকদার নামে দুজনকে শনিবার রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

অন্য চারজনকে ভর্তি করা হয় খুলনা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় রোববার ইমরান ও আজিমকেও ঢাকায় পাঠানো হয়।

রোববার দুপুরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে দেখা যায়, আহত আজিমের মুখ, বুকসহ শরীরের অধিকাংশই ঝলসে গেছে। তাকে চেনাই যাচ্ছে না।

আজিমের বোন চুমকি জানান, মা-বাবা, এক ভাই ও বোন নিয়ে সংসারে আজিমই একমাত্র উপার্জনক্ষম। শরীরের বেশির ভাগই পুড়ে গেছে তার ভাইয়ের। এখন একমাত্র আল্লাহই জানেন তাদের ভাগ্যে কী আছে।

ইমরানের মামাতো ভাই রাতুল বলেন, ‘ভাইয়ের কোম্পানি থেকে চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করছে। যা যা প্রয়োজন তারা করছে। তবে কী হবে বুঝতে পারছি না।’

তিনি জানান, সিলিন্ডারে গ্যাস ভরার সময় লিক হচ্ছিল। কেন গ্যাস ভেতরে যাচ্ছে না, এটা দেখতে মুখ বাড়িয়ে দেন ইমরান। এর পরই সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। মুখ, বুক ও হাত সবই পুড়ে গেছে তার।

খুলনা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান তরিকুল ইসলাম জানান, ইমরান ও আজিমের যেকোনো সময় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) প্রয়োজন হতে পারে। সেই ব্যবস্থা খুলনায় না থাকায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এখন সাইফুল ও তরিকুল ইসলাম নামে শেষ দুই রোগীর চিকিৎসা চলছে। তাদের শরীরেরও ১৫-২০ ভাগ পুড়ে গেছে। শ্বাসনালিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা যতটুকু সম্ভব চিকিৎসা দিচ্ছেন। প্রয়োজনে তাদের ঢাকায় পাঠানো হতে পারে।

এ বিভাগের আরো খবর