ঠাকুরগাঁও শহরের খালপারা এলাকায় এক তরুণীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় রোববার আলম নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আলমের মেয়ের সঙ্গে সমকামিতার অভিযোগ তুলে শনিবার রাতে ওই তরুণীকে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ।
নির্যাতনের শিকার তরুণী জানান, শনিবার রাতে আলমসহ আরও সাত নারী-পুরুষ ওই তরুণীকে তাদের বাসায় ডেকে নেন। সেখানে তাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে তার মাথার সব চুল কেটে দেয়া হয়।
এ ঘটনার বিচার চেয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো দোষ করিনি। আমাকে অযথা ধরে নিয়ে গিয়ে এভাবে মারধর করল। আমার কাপড় ছিঁড়ে চুল কেটে দিল। ওরা ওদের মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ তুলেছে, কিন্তু একটা মেয়ের সাথে আরেকটা মেয়ের সম্পর্ক থাকাটা কীভাবে সম্ভব?’
তরুণীকে নির্যাতনের ঘটনায় আটক আলম
তবে আটক আলম বলেন, ‘আমার মেয়ের সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। সেই জন্য আমি মেয়ের বিয়ে দিতে পারছি না। তাই মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করি, কিন্তু মেয়েটি সব অস্বীকার করে আমার ওপরে গরম দেখাতে থাকে।
‘তাই আমার মেয়ে আর প্রতিবেশী মোবারক আলী কয়েকটি চড়-থাপ্পড় দিয়ে চুল কেটে দিয়েছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা মুঝারুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়েটির বাবা নেই। মা-মেয়ে কাজ করে খায়। এভাবে অদ্ভুত একটা দায় চাপিয়ে মেয়েটিকে নির্যাতন করা ঠিক হয়নি।’
ঠাকুরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জানার পরই তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান। ঘটনাস্থলে একজনকে পাওয়া গেলেও বাকিরা পালিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে মেয়ের মা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।