ঢাকার সাভারে স্বামী-স্ত্রী ও শিশু মেয়ের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছবুর মিয়াকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা করেন নিহত রোজিনা বেগমের ভাই। অপমৃত্যুর অপর মামলাটি করেছেন ছবুর আলীর ভাই।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল মামুন কবির রোববার বেলা ২টার দিকে মামলা দুটির বিষয়ে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
মৃত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে তিনি (বাদী মৃত রোজিনার ভাই) সন্দেহ করছেন তার বোনজামাই (মৃত ছবুর আলী) তার বোনকে হত্যা করতে পারে। কাউকে মূলত আসামি করা হয়নি। অজ্ঞাতপরিচয় রাখা হয়েছে। মৃত ব্যক্তিকে এজাহারভুক্ত আসামি করা যায় না। বিষয়টা নিয়ে তদন্ত চলছে। কারণ অন্য জনও মারতে পারে। যেহেতু এখনও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসেনি।
এর আগে ভাদাইল পবনারটেক রূপায়ন গেট এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে শনিবার রাত ১০টার দিকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃতরা হলেন ছবুর মিয়া, তার স্ত্রী রোজিনা বেগম ও তাদের ৯ বছরের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার। তাদের গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানার চরগ্রোব গ্রামে।
এসআই আল মামুন বলেন, ‘শনিবার রাতে একটি কক্ষ থেকে শিশুসহ একই পরিবারের তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করি। আজ সকালে মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠাই।
‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে ছবুর মিয়া নামে ওই ব্যক্তি তার স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিহত রোজিনা বেগমের ভাই ওহাব আলী তার বোনকে হত্যার জন্য স্বামী ছবুরকে দায়ী করে একটি মামলা করেছেন। একই সঙ্গে ছবুরের ভাই শহীদ আলী অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। তবে দুই মামলায় কাউকে আটক করা হয়নি।’