বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘৯ তারিখ পর্যন্ত ঢাকার টিকিট নেই’

  •    
  • ৭ নভেম্বর, ২০২১ ১৫:২৭

সিলেট রেলস্টেশনের কাউন্টারে টিকিট বিক্রির দায়িত্বে থাকা মুহিত আলম জানান, তিন দিন ধরেই যাত্রীর চাপ বেড়েছে। যাত্রীরা অগ্রিম টিকিট কিনে নিচ্ছেন। এ কারণে আগেই টিকিট ফুরিয়ে যাচ্ছে।

কিছুক্ষণ পরপরই মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে, '৯ তারিখ পর্যন্ত ঢাকার টিকিট নেই'। তবু কাউন্টার থেকে ভিড় সরানো যাচ্ছে না। টিকিটের জন্য যাত্রীদের সঙ্গে কাউন্টারের কর্মীদের বসচায় উত্তপ্ত পরিবেশ।রোববার সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে বেলা ১১টার দিকে দেখা যায় এমন দৃশ্য।ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে টানা তৃতীয় দিনের মতো বাস ধর্মঘট চলছে। বাস না পেয়ে দূরপাল্লার যাত্রীরা ভিড় করেছেন রেলস্টেশনে।

সিলেট রেলস্টেশনে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকাগামী সব ট্রেনের টিকিট ইতোমধ্যে ফুরিয়ে গেছে। চট্টগ্রামগামী ট্রেনের টিকিটেরও সংকট দেখা দিয়েছে। স্টেশনে এসে টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন অনেক যাত্রী।

সিলেট রেলস্টেশনের কাউন্টারে টিকিট বিক্রির দায়িত্বে থাকা মুহিত আলম জানান, তিন দিন ধরেই যাত্রীর চাপ বেড়েছে। যাত্রীরা অগ্রিম টিকিট কিনে নিচ্ছেন। এ কারণে আগেই টিকিট ফুরিয়ে যাচ্ছে।তবে কাউন্টারে টিকিট নেই বললেও কালোবাজারে টিকিট মিলছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।জয়ন্তিকা ট্রেনে করে রোববার সকালে সিলেট থেকে ঢাকার দিকে রওনা হন অদিতি দাস। সকালে ট্রেনের জন্য অপেক্ষায় থাকাকালে কথা হয় তার সঙ্গে।

অদিতি বলেন, ‘কাল ও আজ স্টেশনে এসে কাউন্টারে টিকিট পাইনি। অনলাইনেও পাইনি। অথচ আরেক বন্ধুর সহযোগিতায় বাড়তি টাকা দিয়ে বাইরে থেকে টিকিট কিনেছি। ধর্মঘটের কারণে চাপ বেড়েছে। ফলে টিকিটের সংকট হতে পারে, কিন্তু কাউন্টারে টিকিট না থাকলে বাইরে মিলছে কীভাবে?’

আরও কয়েকজন যাত্রী বাড়তি দাম দিয়ে টিকিট কেনার অভিযোগ করেছেন।দুই দিন ঘুরেও টিকিট পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন আরেক যাত্রী সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য বৃদ্ধ মাকে নিয়ে ঢাকা যাওয়া প্রয়োজন, কিন্তু বারবার স্টেশনে এসেও টিকিট পাচ্ছি না।’সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশনমাস্টার মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, বাস বন্ধ থাকায় ট্রেনের টিকিটের চাহিদা বেড়েছে। তাই সংকট দেখা দিয়েছে।

কালোবাজারে টিকিট বিক্রি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এমন অভিযোগ আমার জানা নেই। কোনো যাত্রী টিকিট কিনে তার যাত্রা বাতিল হলে সেই টিকিট হয়তো বাইরে বিক্রি করে দিয়েছেন। তবে কালোবাজারে টিকিট বিক্রির অভিযোগ সত্য নয়।’বাস বন্ধ থাকার তৃতীয় দিনে সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, গত দুই দিনের তুলনায় যাত্রীদের উপস্থিতি কম। রাস্তার পাশে সারি করে রাখা সব বাস। কাউন্টার খোলা থাকলেও অলস সময় কাটাচ্ছেন কর্মীরা। তারা জানেন না কবে বাস চলবে।

জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম জানিয়েছেন, ঢাকায় বিআরটিএর সঙ্গে বাসমালিকদের বৈঠকে দাবি মেনে নেয়া হলেই বাস চলতে শুরু করবে। না হলে ধর্মঘট চলবে।

এ বিভাগের আরো খবর