ডিজেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়লেও বাস ভাড়া ৪১ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন সড়ক পরিবহন মালিকেরা। সিএনজিচালিত হলেও ঢাকা মহানগরীতে একই হারে বাস ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন তারা। ঢাকায় মিনিবাস ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে ৫০ শতাংশ।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রোববার বৈঠকে ভাড়া বাড়ানোর এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন পরিবহন সংগঠনগুলোর নেতারা।
বেলা ১১টার দিকে মহাখালী বিআরটিএ ভবনে পরিবহন নেতাদের বৈঠকে ডাকা হয়। এতে সভাপতিত্ব করছেন বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার।
বৈঠক চলমান অবস্থায় বেলা ২টা ২৫ মিনিটের দিকে বিআরটিএর কাছে তুলে ধরা ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাবের একটি কপি আসে নিউজবাংলার হাতে।
এতে দূরপাল্লার বাস ভাড়া ৪১ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন পরিবহন মালিকরা। অর্থাৎ আগে প্রতি কিলোমিটার ভাড়া যেখানে ১ টাকা ৪২ পয়সা ছিল, এখন সেখানে ২ টাকা চান মালিকরা।
আর মহানগরে বাস ভাড়া ৪১ শতাংশ ও মিনিবাসের ভাড়া ৫০ শতাংশ বাড়াতে প্রস্তাব করেছেন মালিকরা। মহানগরে বাস ভাড়া ছিল প্রতি কিলোমিটার ১ টাকা ৭০ পয়সা। এখন তা ২ টাকা ৪০ পয়সা করার প্রস্তাব করেছেন মালিকেরা। আর মিনিবাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটার ১ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা ৪০ পয়সা করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
বাস ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব
গত বুধবার রাতে ডিজেলের দাম এক লাফে ১৫ টাকা বা ২৩ শতাংশ বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে জ্বালানি বিভাগ। বৃহস্পতিবার সকালেই পণ্যবাহী গাড়ির মালিক-শ্রমিকদের সংগঠন ধর্মঘটে যাওয়ার ডাক দেয়। জেলায় জেলায় বাস না চালানোর ঘোষণাও দেয়া হয়।
কেন্দ্রীয়ভাবে বাসমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতি বিআরটিএর কাছে ভাড়া যৌক্তিক হারে বাড়াতে আবেদন করে। সে আবেদনে লেখা ছিল, জেলায় জেলায় বাসমালিকরা বলছেন, বিদ্যমান ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করলে তাদের লোকসান হবে। তাই তারা বাস চালাবেন না।
বাস ও পণ্যবাহী যানবাহনের পাশাপাশি ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে শনিবার ধর্মঘটের ডাক দেন লঞ্চ মালিকেরাও। এতে দেশজুড়ে বিপাকে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
ডিজেলের দাম বাড়লেও সিএনজি ও পেট্রলে চলা যানবাহনগুলো ‘সুযোগ পেয়ে’ অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও যানবাহন স্বল্পতায় নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না অনেকের জন্য।