বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশ দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা পেয়েছে ৭ নভেম্বর: ফখরুল

  •    
  • ৭ নভেম্বর, ২০২১ ১২:৫৯

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যা দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এ দিন আমরা দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। আমাদের মহান নেতা ও শহীদ জিয়া তার নেতৃত্ব দিয়েছেন।’

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়। তবে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানকে কারামুক্ত করার মধ্য দিয়ে দেশ দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার সকালে শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

দিনটিকে বিএনপি জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে থাকে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যা দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এ দিন আমরা দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। আমাদের মহান নেতা ও শহীদ জিয়া তার নেতৃত্ব দিয়েছেন।’

৭ নভেম্বর পালনে দলের সিনিয়র ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে চন্দ্রিমা উদ্যানে যান বিএনপি মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতারা। পরে তারা জিয়ার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতিহা পাঠ করেন।

এ সময় জিয়ার পরিবার ও দেশের সমৃদ্ধি কামনা এবং করোনার থেকে রক্ষায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

পরে সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘যেভাবে আমরা একাত্তরের একটি চেতনা ও আকাঙ্ক্ষাকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। সেভাবেই ৭ নভেম্বর আমাদের সিপাহি জনতা সংহতি প্রকাশ করেছিল। এরপরই দেশে গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, মুক্তবাজার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক যে, আজকে দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে নির্মমভাবে ধ্বংস করেছে। দেশে মানুষের বাকস্বাধীনতা নেই, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই ও গণতন্ত্র নেই। ফ্যাসিস্ট শাসন কায়েম করেছে আওয়ামী লীগ।’

ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যিনি সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য, দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছেন, আজকে তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাবন্দি করেছে। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এভাবে দলের সাধারণ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা দিয়েছে।

‘এমন অবস্থায় আজকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে আমরা শপথ নিয়েছি, সব নেতা-কর্মী ও রাজনৈতিক দলের ঐক্যের মাধ্যমে এই ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারকে হটিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও আইনের শাসন কায়েম করব।’

বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও এ সময় শ্রদ্ধা জানাতে যান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবীর খোকন, আমিনুল হক, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।

এ ছাড়া যুবদলের সাইফুল আলম নীরব, নূরুল ইসলাম নয়ন, ওলামা দলের মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক, মাওলানা নজরুল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহাতাব, আবদুর রহিম, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মজিবুর রহমান, জাসাসের হেলাল খান, জাকির হোসেন রোকন, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে ঢাকা জেলা বিএনপি, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর নেতাদের নিয়ে জিয়ার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।

এ বিভাগের আরো খবর