বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ভাইস চেয়ারম্যানের দেহরক্ষীর’ গুলিতে যুবক নিহত

  •    
  • ৭ নভেম্বর, ২০২১ ০১:৫৬

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ থেকে গুলিবিদ্ধ একজনকে আনা হয়েছিল। রশিদ নামের ওই যুবক মারা গেছেন রাত ১০টার দিকে।’

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঘিরে বিরোধ মীমাংসার সালিশে গিয়ে এক যুবক খুন হয়েছেন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শনিবার রাত ১০টার দিকে গুলিবিদ্ধ আব্দুর রশিদকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। স্বজনদের অভিযোগ, সালিশ চলাকালে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানের দেহরক্ষীর গুলিতে প্রাণ হারান তিনি। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

নিহত রশিদের বাড়ি রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া ইউনিয়নে। তিনি ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তাওলাদ হোসেনের শ্যালক।

ইউনিয়নের মীরকুটির চৌরাস্তা এলাকায় শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের খবর নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করছেন নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন।

স্থানীয়দের বরাতে তিনি বলেন, ‘মুড়াপাড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী আব্দুল কুদ্দস, সিরাজুল ইসলাম ও ফয়েজ আলীর সমর্থকদের মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় নির্বাচনি প্রচার নিয়ে সংঘর্ষ হয়। বিরোধ মীমাংসায় রাতে সালিশ ডাকেন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহরিয়ার পান্না সোহেল।

‘খবর পেয়ে সালিশে উপস্থিত হন ৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ইউপি সদস্য তাওলাদ হোসেন ও তার শ্যালক আব্দুর রশিদসহ কয়েকজন। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান শাহরিয়ারের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়ান তাওলাদ। তাদের থামাতে গেলে শাহরিয়ারের দেহরক্ষী জসিম গুলি করে রশিদকে। আহত রশিদকে পাঠানো হয় ঢাকায়।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ থেকে গুলিবিদ্ধ একজনকে আনা হয়েছিল। রশিদ নামের ওই যুবক মারা গেছেন রাত ১০টার দিকে।’

নিহত রশিদের জামাতা ও ইউপি সদস্য তাওলাদ হোসেন বলেন, সন্ধ্যায় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী আব্দুর কুদ্দুস ও ফয়েজ আলীর সমর্থকরা মাইকিং করছিল। তখন তাদের বাধা দেয় আরেক ইউপি সদস্য প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম। এ নিয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য শাহরিয়ার চেয়ারম্যান তাদের ডাকেন। তখন আমার সঙ্গে তর্ক হয় শাহরিয়ারের। এ সময় আমার শ্যালকের মাথায় ঠেকিয়ে গুলি করে জসিম নামের তার এক দেহরক্ষী।’

এ বিষয়ে জানতে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহরিয়ার পান্না সোহেলের মোবাইলে একাধিক ফোন দেয়া হলেও, তিনি তোলেননি।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, ‘ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে ৫ জনকে। তদন্তের স্বার্থে তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না। রশিদের মরদেহ রাখা হয়েছে ঢাকা মেডিক্যালের জরুরি বিভাগের মর্গে।’

এ বিভাগের আরো খবর