মাদারীপুরের কালকিনির কয়ারিয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি প্রচারের সময় বাধা দেয়ার অভিযোগ অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ১৫ জন আহতসহ ভাঙচুর করা হয়েছে ৫০টি মোটরসাইকেল। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতোমধ্যে ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার সকাল ১১টার দিকে ইউনিয়নের তালতলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, এদিনে সকালে নির্বাচনি প্রচারে বের হন নৌকা প্রতীক মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকির হোসেন জমাদার ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুল হাসান নুর। স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন নির্বাচনি প্রচারের সময় নৌকা প্রার্থীর লোকজন প্রায় ১০০ মোটরসাইকেল নিয়ে এসে বাধা দেয়। এতে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় ককটেল বিস্ফোরণসহ নৌকার প্রচারে ব্যবহৃত অন্তত ৫০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রায় ৫০০ সমর্থক লগি-বৈঠা নিয়ে পুরো এলাকায় মিছিল করে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী নুর মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘সকালে সমর্থকদের নিয়ে পথসভায় বের হলে তালতলা বাজারে আসার পর বিপরীত দিক থেকে নৌকা মার্কার সমর্থকরা আমার লোকদের বাধা দিয়ে তারা আমার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। ফলে এলাকায় আমার যত সমর্থক আছে, সবাই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। আমার লোকজনও আহত হয়েছে। আমাদের অনেকগুলো মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।’
নৌকার মনোনীত প্রার্থী জাকির হোসেন জমাদার বলেন, ‘তারা লোকজন ভাড়া করে এনে আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমাদের প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি করেছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ বিষয়ে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আসফাক রাসেল বলেন, ‘ঘটনার পর দ্রুত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা আছে। আমারা সন্দেহভাজন ১২ জনকে আটক করেছি। এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী লিখিত অভিযোগ করেননি।’