জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেছেন, আমরা কথায় নয়, কাজে বিশ্বাস করি।
উপাচার্য বলেন, ‘আমাদের টিকাকেন্দ্র হয়েছে। এনআইডিও হয়ে গেছে। আমাদের মতো এতো দ্রুত কেউ করতে পারেনি। আমরা দিন রাত খেটে এটা করলাম। ঘরে বসে এনআইডি পাবে। এর চেয়ে সহজ আর কিছু নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনেকদিন চেষ্টা করে পেরেছে। এরপরই আমরা পেরেছি।’
টিকা ও এনআইডি কার্যক্রম নিয়ে সম্প্রতি নিউজবাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘অনেকদিনের প্রচেষ্টা ছিল আমাদের এখানে একটা টিকাকেন্দ্র হবে। আমরা সবসময়ই কথায় নয়, কর্মে বিশ্বাস করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে চাই, যার উদ্যোগে এই টিকাকেন্দ্রগুলো হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিপ্তরের কাছ থেকেও আমি সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা পেয়েছি। যখনই যোগাযোগ করেছি, তারা সহযোগিতা করেছেন। ফলে এত দ্রুত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকাকেন্দ্র হয়েছে।’
এর আগে গত ২১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। টিকাকেন্দ্র উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। পরে ২৫ অক্টোবর থেকে শিক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু হয়। কেন্দ্রটিতে চীনের তৈরি সিনোফার্মার (ভেরোসেল) টিকা দেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে স্থাপিত টিকার অস্থায়ী ক্যাম্পে প্রথম দিনে ১০৫, দ্বিতীয় দিন ২৮০, তৃতীয় দিনে ৩৫০, চতুর্থ দিনে ৩৯৫, পঞ্চম দিনে ৫০০ জন শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছেন। এরপর শিক্ষার্থীদের চাহিদার ভিত্তিতে টিকাদান কার্যক্রম আরও একদিন বাড়ানো হয়।
গত রোববার ষষ্ঠ ও শেষ দিনে ৩৩০ জনসহ মোট ১৯৬০ জন টিকা নিয়েছেন। কোনো জটিলতা ছাড়াই টিকা নিতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন উদ্যোগে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তারা।
এ ছাড়াও টিকার রেজিষ্ট্রেশনের জন্য যেসব শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র ছিল না, তাদের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই এনআইডি নিবন্ধন বুথ স্থাপন করা হয়। এই কার্যক্রমে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন।
২৫ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এনআইডি নিবন্ধন কার্যক্রম চলে। এতে সর্বমোট ২৮০ শিক্ষার্থী এনআইডি নিবন্ধন সম্পন্ন করেন।