বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নাতিকে ছাড় দেবেন না নানা

  •    
  • ৬ নভেম্বর, ২০২১ ২২:১৮

বর্তমান চেয়ারম্যান মাসুদ রানা স্থানীয় মাহামুদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। মনোনয়ন না পেয়ে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মনু মোল্লা। তিনি মাসুদ চেয়ারম্যানের মায়ের মামা (নানা)।

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন নানা-নাতি। দুজনেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা। তাদের ঘনিষ্ঠ ও রাজনৈতিক অনুসারীরা এ অবস্থায় পড়েছেন বিপাকে।

স্থানীয় লোকজন জানান, মাহামুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মাসুদ রানা স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি দলীয় মনোনয়নে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। আগের নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সমর্থন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মাহামুদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মনু মোল্লা। তিনি মাসুদ চেয়ারম্যানের মায়ের মামা (নানা)। আত্মীয়তার সম্পর্কে নাতির বিরুদ্ধে তিনি ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন আনারস প্রতীক নিয়ে।

চেয়ারম্যান পদে নানা-নাতির এই ভোটের লড়াই নিয়ে নানা রকম আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

মাহামুদপুর ইউনিয়নে ভোট হবে ১১ নভেম্বর। এখানে ভোটার রয়েছেন ৯ হাজার ২৯৪ জন। নির্বাচনে এবার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন সাতজন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছাড়া বাকি সবাই নিজেদের স্বতন্ত্র প্রার্থী দাবি করেছেন। তবে ঘুরেফিরে আলোচনায় ওই দুই প্রার্থী। তারা পরস্পর আত্মীয় এবং একই দলের হওয়ায় সমালোচনার মুখেও পড়ছেন।

মনু মোল্লার সমর্থকরা বলছেন, সিনিয়র নেতাদের বাদ দিয়ে বারবার একজন জুনিয়র নেতাকে মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে। এতে স্থানীয়ভাবে অনেক সমস্যা তৈরি হয়েছে।

আর মাসুদ রানার সমর্থকদের দাবি,পাঁচ বছর চেয়ারম্যান হিসেবে ভালো করায় সমর্থন বেড়েছে। তাই দল তাকেই মনোনয়ন দিয়েছে। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যিনি নির্বাচন করছেন তিনি অন্যায় করছেন।

চেয়ারম্যান মাসুদ রানা বলেন, ‘মনু মোল্লা আমার মায়ের মামা, তিনি আমার নানা হন। দলের পদে আছেন তিনি। দল আমাকে মনোনয়ন দেয়ার পরও তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। পারিবারিকভাবে সুরাহার চেষ্টা করেও আমরা ফল পাইনি। বাধ্য হয়ে ভোটের ময়দানে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।’

বিব্রতকর এ পরিস্থিতি নিয়ে মনু মোল্লা কথা বলতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো.মোক্তার হোসেন বলেন, ‘সাতজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। তাদের কেউ আওয়ামী লীগের নেতা, আবার কেউ সমর্থক। নির্বাচনে অংশ নেয়া মনু মোল্লা ও মাসুদ রানা একই ইউনিটের নেতার পাশাপাশি সম্পর্কে নানা-নাতি। বিষয়টি সুরাহার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা নেতাদের বলা হয়েছে। নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।'

এ বিভাগের আরো খবর