বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ‘মন্তব্য করা’ রূপক এবার আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী 

  •    
  • ৬ নভেম্বর, ২০২১ ২১:১৩

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, রূপক তৎকালীন বরগুনা-২ আসনের বিএনপি জোটের সাংসদ নুরুল ইসলাম মনির ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত। এ ছাড়া মনির সঙ্গে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে নিয়মিত অংশ নিয়ে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতেন তিনি।

বিএনপির জনসভায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সেই মিজানুর রহমান রূপক এখন বরগুনার পাথরঘাটার রায়হানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক না পেয়ে অংশ নিচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে।

রূপকের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আইয়ুব আলী হাওলাদার।

২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে রায়হানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন রূপক। এ বছর তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে ওই ইউনিয়ন থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলামকে।তফসিল ঘোষণার পর রূপকের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতারা।

অভিযোগে বলা হয়, ২০০২ সালে রায়হানপুরের লেমুয়া কলেজ মাঠে বিএনপির ডাকা জনসভায় তৎকালীন বিএনপির সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মনিকে ফুল দিয়ে দলটিতে যোগ দেন রূপক। সেখানে বক্তৃতাও করেন তিনি।

এতে বলা হয়েছে, এ সময় নিজের বক্তব্যে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে রূপক বলেন, ‘১০ ট্রাক অস্ত্রের ঘটনায় শেখ হাসিনাকে রিমান্ডে নিলেই তথ্য বের হয়ে আসবে।’

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, রূপক তৎকালীন বরগুনা-২ আসনের বিএনপি জোটের সাংসদ নুরুল ইসলাম মনির ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত। এ ছাড়া মনির সঙ্গে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে নিয়মিত অংশ নিয়ে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতেন তিনি।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থী বাছাইয়ে তৃণমূলের সর্বোচ্চ ৩১ ভোট পেয়ে মাইনুল ইসলাম মনোনয়নের জন্য নির্বাচিত হন। তবে কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন দেয়া হয় রূপককে। এ নিয়ে কোন্দল দেখা দিলে ওই বছরের ১২ জুলাই জেলা আওয়ামী লীগের কাছে প্রতিবেদন দেয় পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগ।

উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি আলমগীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেনের সই করা ওই প্রতিবেদনে দলের সভানেত্রীকে নিয়ে রূপকের বিরূপ মন্তব্যের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়।

এ বিষয়ে রায়হানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকার মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘গতবার আমি মনোনয়নের জন্য নির্বাচিত হওয়ার পরও ক্ষমতার দাপটে তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে বিএনপির সমর্থক রূপক মনোনয়ন পেয়েছিলেন। গত পাঁচ বছর আমাদের এটা মেনে নিতে হয়েছে। এবার আমি মনোনয়ন পেয়েছি। তবে রূপক দলীয় পদে থেকে দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছে। আমি আশা করছি, উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগ রূপকের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে।’অভিযোগের বিষয়ে রায়হানপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রূপক বলেন, ‘আমি স্কুল ও কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি। কখনও বিএনপি করিনি।’

বিএনপির সাংসদ নুরুল ইসলাম মনির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ও শেখ হাসিনাকে ১০ ট্রাক অস্ত্রের ঘটনায় রিমান্ড চাওয়ার বিষয়টিও অস্বীকার করেন তিনি।

রূপক বলেন, ‘এটা আমার শত্রুদের অপপ্রচার। জনপ্রিয়তার বিবেচনায় আমি মনোনয়ন পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে গত পাঁচ বছর মানুষের সেবা করেছি। এবারও আমার মাঠ ভালো, তাই প্রার্থী হয়েছি। আমি দলের বাইরের কেউ নই। মনোনয়ন না পেলেও এলাকার মানুষের স্বার্থে আমি প্রার্থী হয়েছি। আমি দলের সঙ্গে আছি এবং আজীবন থাকব।’

পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যারা বিদ্রোহ করে প্রার্থী হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থান নেব। বিদ্রোহীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেয়া হবে।’তৃতীয় ধাপে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা চারটি ইউনিয়নে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

২৮ নভেম্বর পাথরঘাটা সদর, চরদুয়ানী, রায়হানপুর ও নাচনাপাড়া ইউনিয়নে ভোট নেয়ার তারিখ ঠিক করা হয়েছে। এর আগে প্রথম ধাপে একই উপজেলার সাত ইউয়িননের মধ্যে কালমেঘা, কাঠালতলী ও কাকচিড়া ইউনিয়নে নির্বাচন হয়।

এ বিভাগের আরো খবর