নওগাঁ সদরের বক্তারপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন আপন দুই ভাই।
আব্দুল লতিফ বুকল আওয়ামী লীগের নৌকা এবং তার বড় ভাই শহীদ হাসান সিদ্দিকী স্বপন হাতুড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নওগাঁ সদর উপজেলার ১২ ইউনিয়নে ভোট ১১ নভেম্বর।
বক্তারপুর ইউনিয়নে দুই ভাইয়ের ভোটযুদ্ধ নিয়ে ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল দেখা দিয়েছে। দুই প্রার্থীই নির্বাচনে জয়ে আশাবাদী।
কয়েকজন ভোটার জানান, আপন দুই ভাইয়ের লড়াই ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। দুই ভাইয়ের কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা-সমালোচনার কমতি নেই। শুধু দলীয় বিবেচনায় নয়, ব্যক্তি পরিচয়েই তারা ভোট পাবেন।
স্থানীয়রা জানান, দুজনের কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পরিবারের লোকজন, আত্মীয়স্বজনসহ প্রতিবেশীরাও। দুই ভাই প্রতিটি গ্রাম, পাড়া-মহল্লা, হাটবাজারসহ সবখানে প্রচার চালাচ্ছেন। শেষ মুহূর্তে এখন অপেক্ষার পালা, জয়ের মালা কে পরবেন।
নৌকার প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ বুকল বলেন, ‘রাজনীতি, নির্বাচন, ব্যক্তিগত বা পারিবারিক সম্পর্ক আলাদা বিষয়। দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে, নৌকার মাঝি হিসেবে নির্বাচনি মাঠে লড়ছি।
‘আশা করছি ইউনিয়নবাসী আমাকে জয়যুক্ত করবেন। আমি জয়ী হয়ে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ইউনিয়নবাসীর উন্নয়নে কাজ করতে চাই।’
হাতুড়ি প্রতীকের প্রার্থী ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির নওগাঁ জেলা সভাপতি শহীদ হাসান সিদ্দিকী স্বপন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার তেমন কোনো মন্তব্য নেই। ছোট ভাই নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।
‘২০০৩ থেকে ২০১১ সালের ১১ আগস্ট পর্যন্ত চেয়ারম্যান ছিলাম। সে সময় এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছি। আমি আশাবাদী, ইউনিয়নবাসীর দোয়া ও পূর্ণ সমর্থন পাব। জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে জয়ী করবেন বলে বিশ্বাস করি।’
এই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীকে নাজমুল হুদা জুয়েল, আনারস প্রতীকে সারোয়ার কামাল চঞ্চল এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আব্দুল মুমিন।নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের তথ্যমতে, বক্তারপুর ইউনিয়নে ভোটার ১৫ হাজার ৩৪৯ জন।