চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় পঙ্কজ তালুকদার নামের এক যুবকের গুলিবিদ্ধ হওয়া নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার দক্ষিণ কাঞ্চনার মামার বাড়ি থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
পূজায় পরিবার নিয়ে একই উপজেলার নলুয়া ইউনিয়ন থেকে মামার বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন পঙ্কজ। সেখানে পূজার অনুষ্ঠান চলার সময় পেটে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পঙ্কজ সংজ্ঞাহীন থাকায় এবং স্বজনরা কিছু না জানানোয় এ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দায়িত্বরত জেলা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জাহেদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাত পৌনে ১টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরিবারের সদস্যরা নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি।
‘আহতের পেটের ডান পাশে গুলির গভীর ক্ষত ছিল। রোগী যেহেতু সংজ্ঞাহীন, তার কাছ থেকেও কিছু জানতে পারিনি।’
তিনি জানান, শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সার্জারি করে ওই ক্ষতস্থান থেকে ছররা গুলির ৪০টি টুকরা বের করেছেন চিকিৎসকরা। তাদের ধারণা, ভেতরে আরও টুকরা থাকতে পারে। তবে রোগী এখন শঙ্কামুক্ত।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাতেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। মূলত পূজায় পরিবার নিয়ে নিজ বাড়ি নলুয়া থেকে মামার বাসায় বেড়াতে এসেছিল পঙ্কজ।
‘পরিবারের সদস্যরা বলছে চারদিকে মাইকের শব্দে তারা কিছু শোনেনি, সবাই হই-হুল্লোড়ে ছিল। পরে বাড়ির পেছনের দিকে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আমরা বিষয়টা তদন্ত করছি।’
ওসি শনিবার বিকেলে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, এটা পারিবারিক ঝামেলা থেকে, কিন্তু সবার তো মুখ বন্ধ, কেউ কিছু বলতেছে না। কেউই মুখ খুলতেছে না। আমরা পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেছি।’
আহত পঙ্কজকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া চাচা প্রিয়তোষ তালুকদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ও মামার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। আমি শহরে থাকি, আমি কিচ্ছু জানি না। ওরা গ্রাম থেকে রাতে পাঠিয়েছে শহরে, আমি শুধু রিসিভ করে হাসপাতালে নিয়ে আসছি।’