নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সেই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।প্রতিবেদনে কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।নিউজবাংলাকে শনিবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংস্থার নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম।
খোরশেদ ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর। তিনি নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি। করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময় মরদেহ দাফন ও সৎকার করে আলোচনায় আসেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) তৌহিদুল ইসলাম প্রতিবেদন জমা দেন। এর আগে গত ২৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে খোরশেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ওই নারী।আদালত অভিযোগটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়।মামলার বাদী নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ সিএনজি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত ১৭ মে ওই নারী খোরশেদ ও মানবাধিকার কর্মী রেহানা আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় দীর্ঘ দিন পলাতক থাকার পর খোরশেদ উচ্চ আদালত থেকে সম্প্রতি জামিন পেয়েছেন।কাউন্সিলর খোরশেদ নিউজবাংলাকে জানান, প্রতিপক্ষের সঙ্গে মিলে ওই নারী তার বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানি করছেন। তাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা চলেছে বলেও দাবি করেন তিনি। ফেসবুক লাইভে এসে গত ২৪ এপ্রিল খোরশেদ ও তার স্ত্রী আফরোজা আক্তার লুনা বাদীর বিরুদ্ধে হয়রানি ও তাকে (খোরশেদ) কাজী নিয়ে এসে বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তোলেন। তাকে প্রশাসনিকভাবে নানা হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও জানান।
ওই ঘটনার দুদিন পর ওই নারী ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, তিনি ব্যবসার কাজে দেশের বাইরে আছেন। খোরশেদ তাকে বিয়ে করেছেন। তার কাছে প্রমাণ আছে। তিনি বিষয়টি গোপন করার জন্য তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মানহানিকর অভিযোগ করেছেন।