জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর শুরু হওয়া পরিবহন ধর্মঘটের জেরে বিপাকে পড়া পর্যটকদের পাশে দাঁড়িয়েছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। আটকে পড়াদের নিজস্ব বাসে চট্টগ্রামে পৌঁছে দিচ্ছে বাহিনীটি।
কক্সবাজার পুলিশ লাইনস থেকে শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ৪৬ পর্যটক নিয়ে ছেড়ে যায় প্রথম বাসটি। কক্সবাজারের পাশাপাশি আশপাশের কয়েকটি জেলা থেকে আনা ১৫টি বাস এই সেবা দিচ্ছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিয়া ইসলাম শুক্রবার ভোরে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে আসেন কক্সবাজারে। ফেরার কথা শনিবার।
তিনি বলেন, ‘পরিবহন বন্ধ থাকায় আটকে গিয়েছিলাম। কল্পনাও করতে পারিনি পুলিশ এমন উদ্যোগ নেবে। অবশেষে পুলিশের গাড়িতে চট্টগ্রাম যাচ্ছি। সেখান থেকে ট্রেনে ঢাকায় ফিরব।’
কলাতলী-মেরিন ড্রাইভ হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান বলেন, ‘ধর্মঘটের কারণে কক্সবাজারে আটকে আছে অন্তত ২০ হাজার পর্যটক। ধর্মঘটে তারা বিপদে পড়েছিলেন। পুলিশ উদ্ধার করল। সব হোটেলে বিষয়টা জানিয়ে দিয়েছি, যেন সবাই ফিরতে পারে।’
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পর্যটকদের দুর্ভোগের কথা ভেবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমরা পর্যটকদের হোটেল-মোটেলের থাকার কাগজপত্র যাচাই করে একটি নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাত্রী নির্বাচন করছি।’
ভোগান্তি এড়াতে অনেক যাত্রী আকাশপথে গন্তব্যে ফিরছেন। অনেকে আবার দুই থেকে তিন গুণ বেশি টাকায় মাইক্রোবাস কিংবা প্রাইভেট কার ভাড়া নিচ্ছেন।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশেও ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ায় সরকার। এতে লিটারপ্রতি এক লাফে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়।
প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য গণপরিবহন, মালবাহী ট্রাক ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ করে দেন পরিবহন সংগঠনের নেতারা।