দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পণ্ড হয়ে গেছে সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন। এ সংষর্ষের পর কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপি নেতারা সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করে চলে যান।
এ ঘটনায় পৌর বিএনপির বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, শনিবার সকালে শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আলোচনা সভা শেষে বেলা দেড়টার দিকে শুরু হয় কাউন্সিল। সম্মেলনের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন মিজানুর রহমান রুবেল।
বেলা আড়াইটার দিকে চার সম্পাদকীয় পদের বিপরীতে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট হওয়ার পর জাল ভোটের অভিযোগ এনে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়, যা একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে দুজন আহত হন।
তবে সংঘর্ষ নয়, দুটি পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা ও ঠেলাঠেলির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সম্মেলনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবু নাসের পিন্টু।
তিনি বলেন, ভোটারদের মধ্যে ঠেলাঠেলির ঘটনায় সম্মেলনের স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কিছুটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। সে জন্য কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভোটার জানান, কাউন্সিলরদের আইডি কার্ড না থাকার সুযোগে একটি পক্ষ নামে-বেনামে ভোট দেয়া শুরু করলে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে ব্যালট বাক্স ছিনতাই এবং দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা চেয়ার ছোড়াছুড়ি করেন। পরে পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় সিলেট জেলা বিএনপির নেতারা সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করে চলে যান।
সম্মেলনের নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনে সহসভাপতি পদে কবির আহমদ ও আতাউর রহমান কটন, সাধারণ সম্পাদক পদে জসিম উদ্দিন জুয়েল ও গিয়াস উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নজমুল হোসেন ও এমদাদুল হক ইমন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে তাজ উদ্দিন কুটি ও কামাল উদ্দিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এর আগে সকালে পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গিরদার। উদ্বোধন শেষে প্রথম অধিবেশনে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল হুদার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন জীবন।
কাউন্সিলর মিছবা উদ্দিন ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু নাসের পিন্টুর পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, কাইয়ুম চৌধুরী, সামিয়া চৌধুরী, আব্দুল মান্নান, ফয়ছল আহমদ চৌধুরী।