পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের প্রতিষ্ঠান রহিমা ফুড লোকসান কাটিয়ে সামান্য মুনাফা করতে পারার পর বিনিয়োগকারীদের জন্য নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি পাবেন ১০ পয়সা করে।
এই লভ্যাংশ কেবল সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পাবেন। উদ্যোক্তা-পরিচালকরা এ বছর কোনো লভ্যাংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শনিবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত ৩০ জুন পর্যন্ত কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ২০ পয়সা।
কোম্পানিটির লোকসান কাটিয়ে সামান্য মুনাফার মুখ দেখলেও সম্পদমূল্য কমে গেছে। গত বছরের জুন শেষে শেয়ার প্রতি ৯ টাকা ৫৭ পয়সার সম্পদ ছিল। এক বছর পরের জুনে তা দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ২৯ পয়সা।
লভ্যাংশ সংক্রান্ত বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ২ ডিসেম্বর। অর্থাৎ যারা এই লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে সেদিন শেয়ার ধরে রাখতে হবে। এই লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ২৭ ডিসেম্বর।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে ১৯৯৭ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি লভ্যাংশ দিয়েছে হাতে গোনা কয়েক বছর। কোম্পানিটির শেয়ার ২০১৭ সালেও ২০ টাকার নিচে লেনদেন হতো। তবে একটি বড় গ্রুপ মালিকানায় আসবে এবং সেটি নারিকেল তেলের ব্যবসা শুরু করবে-এমন গুঞ্জনে ওই বছর থেকেই দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে।
এক পর্যায়ে দাম ২০০ টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার পর ২০১৮ সালে কোম্পানিটিকে একবার তালিকাচ্যুত করার কথা উঠে। পরে কোম্পানিটির লেনদেন স্থগিত করা হয়। ২০১৯ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
চলতি বছরের শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে ১৭৫ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়। ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর শেয়ার পরে দেয় লাফ। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে দাম বেড়ে হয়ে যায় ৩৮২ টাকা।
তবে এরপর থেকে দাম ক্রমেই কমছে। বৃহস্পতিবার দাম দাঁড়িয়েছে ২৯৬ টাকা ৮০ পয়সায়।