সমবায়ের নামে অসহায় মানুষদের হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
পিরোজপুরের নেছারাবাদে শনিবার জাতীয় সমবায় দিবসের আলোচনায় তিনি এ সতর্কবার্তা দেন।
সমবায়ে প্রতারণা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে সমবায়ভিত্তিক ব্যবস্থা জনপ্রিয়তা পাচ্ছে, তবে মাইক্রো ক্রেডিটের (ক্ষুদ্রঋণ) নামে একটা শ্রেণি মানুষদের নিষ্পেষণ করছে, চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ নিচ্ছে। এদের জন্য নীতি-নিয়মের মধ্যে যেসব সমবায় প্রতিষ্ঠান কাজ করছে, তাদের বদনাম হচ্ছে। এ বিষয়টি লক্ষ রাখতে হবে।
‘বিধি ভঙ্গ করে মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে কেউ যেন নীলচাষিদের মতো অসহায় মানুষদের নির্যাতন করতে না পারে। সমবায়ের সুযোগ নিয়ে কেউ যেন এর অপব্যবহার না করে। সমবায় হোক আমাদের শক্তির একটি প্ল্যাটফর্ম। সমবায় হোক দরিদ্র-অসহায় মানুষদের সম্মিলিতভাবে কাজ করার একটি প্ল্যাটফর্ম।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিকল্পনা নিয়ে রেজাউল বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লক্ষ্য ছিল যৌথ মালিকানা ও যৌথ নেতৃত্ব। সে কারণে তিনি সমবায়ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা চালু করতে চেয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন রাষ্ট্রের সম্পত্তি হবে সকলের।
‘বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষক, জেলে, শ্রমিক এবং খেটে খাওয়া মানুষদের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। সে লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধু সমবায়ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থার কথা বলেছিলেন এবং সমবায়ভিত্তিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থা কায়েম হয় বাংলাদেশে। সমাজে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থা আনার জন্য বঙ্গবন্ধুর যে লক্ষ্য ছিল, সেটি ধ্বংস করে দেয়া হয়।
‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে আবার মেহনতি মানুষ, কৃষক, শ্রমিক, জেলে ও খেটে খাওয়া মানুষের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।’