দুশ’ বছরের প্রাচীন জেলা নোয়াখালীকে পৃথক বিভাগ ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন করেছে নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন সমন্বয় কমিটি। একই কর্মসূচি থেকে নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলাকে বিভাজন করে নতুন সাতটি উপজেলা গঠন ও নতুন উপজেলাগুলোকে সমন্বয় করে হাতিয়াকেন্দ্রিক নতুন জেলা গঠনের দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
কমিটির সভাপতি রফিকুল আনোয়ার বলেন, ঐতিহ্যবাহী জেলা নোয়াখালীকে বাদ দিয়ে বঙ্গবন্ধু খুনের মূল পরিকল্পনাকারী খন্দকার মোশতাকের জন্মস্থান কুমিল্লাকে কোনোভাবেই বিভাগ হিসেবে মেনে নেবে না বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের নোয়াখালী। নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণা না করাটা হবে বিমাতাসুলভ আচরণ। আর রাজধানীর কাছাকাছি জেলা কুমিল্লাকে বিভাগ করার কোনো সুযোগ নেই।
রফিকুল আনোয়ার বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতির ৩৫ ভাগের এর কম-বেশি নিয়ন্ত্রণ করেন নোয়াখালী অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা। বৃহত্তর নোয়াখালীকে আলাদা বিভাগ ঘোষণা করা হলে বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। সুতরাং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণা করবেন এই প্রত্যাশা এ অঞ্চলের কোটি মানুষের।
তিনি আরো বলেন, নোয়াখালী অঞ্চলের আয়তন পাঁচ হাজার বর্গকিলোমিটার, অথচ এই জেলার উপজেলার সংখ্যা নয়টি। পক্ষান্তরে কুমিল্লার আয়তন ৩০৮৫ বর্গকিলোমিটার হওয়া সত্ত্বেও এই জেলায় উপজেলার সংখ্যা ১৭টি। দেশ ও জাতির উন্নয়নের স্বার্থে এই বৈষম্য দূর করতে হবে। নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলাকে বিভাজন করে আরও কমপক্ষে সাতটি নতুন উপজেলা করতে হবে এবং নবগঠিত উপজেলাগুলোর সমন্বয়ে হাতিয়াকেন্দ্রিক একটি নতুন জেলা গঠন করতে হবে।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফুয়াদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গুলজার হোসেন সৈকত প্রমুখ।