প্রতিনিয়তই দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। এ ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আর সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১৫৪ জনের দেহে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে শনিবার বিকেলে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যু খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিনও একজনের মৃত্যু হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে এ নিয়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে মোট ১৫ লাখ ৭০ হাজার ৮৩৫ জনের দেহে। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৮৯১ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় যার মৃত্যু হয়েছে তিনি পুরুষ; বয়স ৭০ বছরের বেশি। তিনি ঢাকায় বসবাস করতেন।
গত একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৫৭ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৩৪ হাজার ৬৩৫ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭০ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহ নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে সে দেশের করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসছে বলে ধরা হয়।
সে অনুযায়ী বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সরকারের লক্ষ্য এই হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা। ইতোমধ্যে চার জেলায় করোনা সংক্রমণ শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।
দেশে গত বছরের মার্চে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। বছরের শেষে তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এলেও চলতি বছরের এপ্রিলের আগে আবার বাড়তে শুরু করে। এর মধ্যে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে এপ্রিলের শুরুতে লকডাউন এবং ১ জুলাই থেকে শাটডাউন দেয় সরকার।
সংক্রমণ কমে আসার পর আগস্টের মাঝামাঝি থেকে ধীরে ধীরে সব বিধিনিষেধ তুলে নেয়া শুরু হয়। ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। করোনা সুরক্ষার অংশ হিসেবে স্কুল শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে। সে লক্ষ্যে রাজধানীর আটটি স্কুলে টিকাদান কেন্দ্র খোলা হয়েছে।