পরিবহন ধর্মঘটের মধ্যে এবার লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা এসেছে।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহাবুব উদ্দিন।তিনি বলেন, ‘লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত না আসায় লঞ্চ চালাতে মালিকরা অপারগতা প্রকাশ করেছেন।’
‘বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান শনিবার দুপুর পর্যন্ত লঞ্চ ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। তাই তেলের টাকা জোগাড় করতে না পারায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে,’ যোগ করেন তিনি।
লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি শহীদুল ইসলাম ভূঞা বলেন, ‘ধর্মঘট এখনও ডাকা হয়নি। তবে আপাতত আমরা লঞ্চ চলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তেলের দাম বৃদ্ধি করায় খরচ অনেক বেড়ে গেছে। আমাদের পোষায় না।’
লঞ্চমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থার সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভাড়া বৃদ্ধির ব্যাপারে আমরা শুক্রবার বিকেলে দ্বিগুণ ভাড়ার জন্য প্রস্তাব করেছি। শনিবার দুপুর ১২টায় আমাদেরকে তাদের সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল। কিন্তু আমাদের কিছু জানায়নি। সরকার পক্ষ থেকে মিটিং ডাকলে আমরা আর যাব না।’
লঞ্চ বন্ধের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘লঞ্চ মালিকরা তাদের লঞ্চ বন্ধ করেছে। এ ব্যাপারে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই।’
সরেজমিনে শনিবার সদরঘাট ঘুরে দেখা যায়, চাঁদপুর ও আশেপাশের রুটে লঞ্চ চলাচল করলেও দুপুরের পর থেকে সব লঞ্চ বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
মাদারটেক থেকে সিএনজিতে দ্বিগুণ ভাড়ায় সদরঘাট আসেন শহিদুল ইসলাম। এসে দেখেন বরগুনার লঞ্চ বন্ধ। ভোগান্তির বিষয়ে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ভাড়া বাড়ানোর প্রয়োজন হলে বাড়াবে, আমাদের ভোগান্তিতে ফেলা ঠিক নয়।
এদিকে সকাল থেকে চাঁদপুরসহ বেশ কয়েকটি রুটে আগের ভাড়ায় লঞ্চ চললেও ভোলা, ইলিশাসহ বেশ কয়েকটি রুটে ৫০-৬০ টাকা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।