বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে ১২ নভেম্বর ‘ধিক্কার’ মিছিল

  •    
  • ৬ নভেম্বর, ২০২১ ১৪:৪৬

রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘সাম্প্রতিক সহিংসতা বিষয়ে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। আমরা সব মামলার নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত চাই, দলমত নির্বিশেষে যারাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও দ্রুত বিচার আইনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। হাজার হাজার মানুষ গ্রেপ্তার করলেই সুবিচার আসে না। নিরাপরাধ কেউ যেন গ্রেপ্তার ও হয়রানির শিকার না হয়, এজন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাই।’

সম্প্রতি সারা দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনার প্রতিবাদে ১২ নভেম্বর বিকেলে সারা দেশে ‘ধিক্কার’ মিছিলের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। সেদিন এ কর্মসূচি কেন্দ্রীয়ভাবে পালন করা হবে ঢাকার শাহবাগ ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ডাক দেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বিগত দিনগুলোতে দেশের কোনো রাজনৈতিক দলই ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা স্বীকার করতে চাননি। অনেকেই ঘটনাগুলোকে অতীতে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন।

‘এবারও দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো সাম্প্রদায়িক হামলা নিয়ে দোষারোপের রাজনীতি করে চলেছে। এর মধ্য দিয়ে তারা স্বীকার করে নিয়েছে সাম্প্রদায়িক হামলা অতীতেও ছিল, বর্তমানেও আছে এবং দায়মুক্তির সংস্কৃতির কারণে তা চলছে।’

তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সহিংসতা বিষয়ে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। আমরা সব মামলার নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত চাই, দলমত নির্বিশেষে যারাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও দ্রুত বিচার আইনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। হাজার হাজার মানুষ গ্রেপ্তার করলেই সুবিচার আসে না। নিরাপরাধ কেউ যেন গ্রেপ্তার ও হয়রানির শিকার না হয়, এজন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাই।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের দেয়ার বিবৃতির প্রতি ধিক্কার জানিয়ে রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সহিংসতা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি আমাদের ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত করেছে। সামগ্রিক ঘটনাকে লঘু করে দেখাবার তার প্রবণতা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক মহলে ক্ষুণ্ন করেছে।

‘‘বিবৃতিতে পবিত্র কোরআন শরিফ যে কুমিল্লার পূজামণ্ডপের হনুমানের মূর্তিতে রেখেছিল, তাকে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন ও ভবঘুরে’ বলে মূল ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টা করেছেন তিনি। তদন্তকালীন সিআইডির ভাষায় ‘সে ভবঘুরেও নয় মানসিক ভারসাম্যহীনও নয়, সে চতুর’। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ দায়িত্ব ও কাণ্ডজ্ঞানহীন বিবৃতির জন্যে আজকের এ সংবাদ সম্মেলন থেকে আমরা তাকে ধিক্কার জানাই।”

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ তিনি বলেন, ‘গত ২ নভেম্বর তার ভার্চুয়াল ভাষণে সত্য কথা তুলে ধরার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা মনে করি, ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘুদের রক্ষায় শুধু কথা নয়, কাজের মধ্য দিয়ে তা দৃশ্যমান করা আজ যথার্থ অর্থেই প্রয়োজন।’

২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ঘোষিত সরকারি দলের নির্বাচনি ইশতেহারে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন আইন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশনের বাস্তবায়ন, সমতলের আদিবাসীদের জন্য ভূমি কমিশন গঠনের যে অঙ্গিকার করা হয়েছিল, অনতিবিলম্বে তা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ইউটার্ন নিয়েছেন মন্তব্য করেরানা দাশগুপ্ত বলেন, “আইনমন্ত্রীর ‘ইউটার্ন’ আমাদের হতবাক ও বিস্মিত করেছে। এক সেমিনারে তিনি বলেন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ও জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে এবং দ্রুততম সময়ে তা পার্লামেন্টে উত্থাপন করা হবে। এরপরের চার দিন যেতে না যেতেই তিনি বললেন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন নয়, স্বাক্ষী সুরক্ষা আইনের কথা বলেছেন তিনি।’’

সংবাদ সম্মেলন অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি উষাতন তালুকদার, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক।

এ বিভাগের আরো খবর