পরিবহন ধর্মঘটের কারণে কিছুটা স্থবির হয়ে পড়েছে দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ। পরিবহন বন্ধ থাকায় ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে সব পণ্যের দাম। আড়তদাররা জানান, ধর্মঘট খুলে দিলে বাজার ফের স্বাভাবিক হবে- সেই আশায় পণ্য ক্রয় বন্ধ রেখেছেন ক্রেতারা।
চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ধর্মঘটের কারণে পরিবহনে একটু সমস্যা তো হবেই। পরিবহন বন্ধ থাকায় এর কিছুটা প্রভাব পণ্য বেচা-কেনায় পড়েছে। চাল, ডাল, পেঁয়াজ থেকে শুরু করে প্রায় সব পণ্যের দাম পাইকারি বাজারে ২-৩ টাকা বাড়তি এখন। ধর্মঘট চলে গেলে পরিবহন স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তখন এই বাড়তি দামও স্বাভাবিক হবে।’
‘যেকোনো সময় ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হতে পারে। তাই ক্রেতারা এখন বাড়তি দামে পণ্য কিনতেছেন না। কারণ তারা হয়তো মনে করতেছেন এক-দুই দিন অপেক্ষা করলে যথাযথ মূল্যে কিনতে পারবেন সবকিছু।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন এক প্রকার স্থবির বলা চলে। আবার স্থবির বলাও যাচ্ছে না। কারণ আমাদের তো পর্যাপ্ত পণ্য মজুত আছে। তা ছাড়া ক্রেতারাও কিন্তু আসছেন বাজারে। যদিও এটা সংখ্যায় স্বাভাবিকের চেয়ে একটু কম। তবুও তারা আসছেন। ঘুরে দেখতেছেন, দামও দেখতেছেন। তবে এখন দাম দেখেই চলে যাচ্ছেন সবাই, ধর্মঘট চলে গেলে আশা করি আবারও সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’
নগরীর ২ নম্বর গেট এলাকার ব্যবসায়ী শাহ আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকালে গিয়েছিলাম খাতুনগঞ্জে। আমরা সব সময় খাতুনগঞ্জ থেকে পাইকারি দরে পণ্য কিনে দোকানে বিক্রি করি। চালসহ কিছু জিনিস লাগত। তাই গিয়েছিলাম। সব আড়ত ঘুরে দেখলাম, ধর্মঘটের কারণে দাম একটু বাড়ছে। রোববারের পর ধর্মঘট খুলে দিতে পারে। তখন স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তাই আপাতত কিনিনি কিছু।’