ঝালকাঠির রাজাপুরে বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে নারী ইউপি সদস্য নাজমা ইয়াসমিন মুন্নিসহ ২৩ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে সাতুরিয়া ইউনিয়নের নৈকাঠি এলাকার মৃত এস্কেন্দার আলী হাওলাদারের ছেলে শহিদুল ইসলাম হাওলাদার রাজাপুর থানায় মামলাটি করেন।
নাজমা ইয়াসমিন মুন্নি রাজাপুর সদর ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। আরেক আসামি সাতুরিয়া এলাকার উপজেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরে বিউটিশিয়ান হিসেবে কর্মরত যুদ্ধাপরাধী মিল্লাত জমাদ্দারের মেয়ে চন্দ্রিমা রিমু।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন উপজেলার পূর্ব রাজাপুরের জাহাঙ্গীর খান, মো. জালাল, মামুন সিকদার, মো. কামাল, মোস্তফা হানিফ, রাজাপুর সদরের মো. জামাল, বড় কৈবর্তখালীর জুয়েল হাওলাদার, নুর জামাল, মো. শুক্কুর, লাইজু, মো. কহিনুর, পপি বেগম, তানিয়া বেগম, সোহরাব হাওলাদার, মো. আল-আমিন, মো. তানবির, রেহেনা বেগম, পূর্ব ফুলহার গ্রামের মো. মিলন, আঙ্গারিয়া গ্রামের মো. সাইফুল, মো. নাইম ও বাগড়ি গ্রামের নবাব বাবুর্চি।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে নৈকাঠি এলাকায় শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের বাড়িতে চন্দ্রিমা রিমু ও নাজমা ইয়াসমিন মুন্নি ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে হামলা চালান। এ সময় বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
নাজমা ইয়াছমিন মুন্নি হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শহিদুল তার জমিজমাসংক্রান্ত নানা ঝামেলা নিষ্পত্তি করে দেয়ার জন্য আমাকে টাকা সেধেছিল। আমি টাকা নিতে রাজি হইনি। শহিদের সঙ্গে যার ঝামেলা হয়েছে সেই চন্দ্রিমা রিমুর সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক থাকায় মামলায় আমার নাম দেয়া হয়েছে।’
রাজাপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, হামলার ঘটনাস্থল থেকে আটক জাহাঙ্গীর, নুরুজ্জামান ও জুয়েলকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।