নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ফরিদ সরদার নামের এক কৃষককে রাস্তায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় চান মিয়া নামের একজন গুরুতর আহত হন।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইসমাইল মেম্বারের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর ভোট করায় ওই ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে ফরিদের পরিবার।
২০ সেপ্টেম্বরের ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদকে হারিয়ে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী মহিউদ্দিন চৌধুরী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
৪৫ বছর বয়সী কৃষক ফরিদ সরদার উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কালা মিয়ার ছেলে। তিনি গত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের কর্মী ছিলেন।
ফরিদের ছেলে জাকের বলেন, ‘সকালে বাবা তার বন্ধু চান মিয়াকে নিয়ে স্থানীয় বাংলাবাজারে ইরি ধান কিনতে যান। একপর্যায়ে বাংলাবাজার থেকে তিনি মোটরসাইকেলে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন।
‘উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের ইসমাইল মেম্বারের বাড়ির সামনে ওত পেতে থাকা মহিউদ্দিন চেয়ারম্যানের লোকজন বাবাকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে কুপিয়ে এবং রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন।’
তিনি বলেন, ‘বাবা নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের ভোট করায় মহিউদ্দিন চেয়ারম্যানের লোকজন এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।’
পুলিশ জানায়, ফরিদ সরদার স্থানীয় নোব্বা চোরা হত্যা মামলার আসামি। পিতৃ হত্যার প্রতিশোধ নিতে নোব্বা চোরার তৃতীয় সংসারের ছেলে সোহাগ, আকবরসহ ১০-১৫ জন ফরিদকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে মাথায় কুপিয়ে এবং রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন।আশঙ্কাজনক অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে বেলা পৌনে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোহাম্মদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরীর ফোনে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।চরজব্বার থানার ওসি জিয়াউল জানান, পিতৃ হত্যার প্রতিশোধ নিতে নোব্বা চোরার ছেলেরা ফরিদকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
ওসি আরও জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।