বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাস ধর্মঘট: বিআরটিসির বাসে শ্রমিকদের ঢিল

  •    
  • ৫ নভেম্বর, ২০২১ ২২:০৯

স্থানীয়রা জানায়, ট্রাক স্ট্যান্ডের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ৩০-৪০জন পরিবহন শ্রমিক জড়ো হয়ে বিআরটিসির বাস চলাচলে বাঁধা দেয়। পরে তারা কয়েকটি বাসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।

সারা দেশের মতো গাজীপুরে চলছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট। এর মধ্যেই টঙ্গীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাসে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে পরিবহন শ্রমিকরা।

টঙ্গীর চেরাগআলি ট্রাক স্ট্যান্ডের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, ট্রাক স্ট্যান্ডের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ৩০-৪০জন পরিবহন শ্রমিক জড়ো হয়ে বিআরটিসির বাস চলাচলে বাঁধা দেয়। পরে তারা কয়েকটি বাসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।

এছাড়াও ধর্মঘট অমান্য করে সড়কে চলাচল করা বেশ কিছু ট্রাক-পিকআপও আটকে দেয় শ্রমিকরা।

এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করতে গিয়ে শ্রমিকদের রোষানলে পড়েন নিউজবাংলার এই প্রতিবেদক।

পরিবহন শ্রমিকরা প্রতিবেদকের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে। পরে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের হস্তক্ষেপে ভিডিও ডিলিট করার শর্তে ফোন ফেরত দেয়া হয়।

নগরীর বিভিন্ন জায়গা ঘুড়ে দেখা যায়, রাস্তায় চলছে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ পণ্যবাহী বিভিন্ন পরিবহন।

গাজীপুর জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাজী আব্দুর রশিদ বলেন, ‘ভোর থেকেই পরিবহন শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছে। তবে হঠাৎ করেই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত হওয়ায় বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানগুলো ফিরে যাচ্ছে। কিছু পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের গাড়িও সড়কে চলাচল করছে। তাই সড়কে কিছু পন্যবাহী পরিবহন রয়েছে। তবে ট্রাক স্ট্যান্ড থেকে আজ কোনো গাড়ি বের হয়নি।’

বাস চলাচলে শ্রমিকদের বাঁধা দেওয়ার সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দুপুরে শ্রমিকরা না বুঝেই বেশ কিছু বাস চলাচলে বাঁধা দিয়েছে। পরে আমরা তাদেরকে বুঝিয়ে ট্রাক স্ট্যান্ডের ভেতরে নিয়ে এসেছি।

নিউজবাংলার এই প্রতিবেদকের সঙ্গে সঙ্গে দুর্ব্যবহার করায় দুঃখ প্রকাশ করেন পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের এই নেতা।

ধর্মঘটে যাত্রীদের ভরসা বিআরটিসি বাস

সকাল থেকে গাজীপুরের বিভিন্ন বাস স্ট্যান্ডে যাত্রীদের বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়।

তবে ঢাকায় যেতে যাত্রীরা নির্ভর করছে বিআরটিসি বাসের ওপর। গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত বিআরটিসি বাস চলাচল করতে দেখা গেছে।

দীর্ঘ সময় পর পর বাস স্ট্যান্ডে বাস আসলে তাতে হুমড়ি খেয়ে উঠছেন যাত্রীরা।

তবে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।

বিআরটিসি বাসের চালক মাইনুদ্দিন বলেন, ‘ধর্মঘটে সব ধরনের বাস বন্ধ থাকলেও বিআরটিসি বাস চলছে। বাস না পেয়ে যাত্রীরা অনেক কষ্ট করতেছে। আমরা সাধ্যমতো যাত্রী পরিবহনের চেষ্টা করছি। তবে বেশি ভাড়া আমরা নিচ্ছি না।’

বিশেষ কাজে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে অনেকেই যাচ্ছে গন্তব্যে। মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অটোরিকশা ও ইজিবাইক।

মাহবুব হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, ‘বাস চলাচল না করার সুযোগে অটোরিকশা ও সিএনজি চালকরা বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। দুই থেকে তিনগুন বেশি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। রাইড শেয়ারিংইয়ের মাধ্যমে বাইক নিলেও দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হচ্ছে।’

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ বলেন, ‘পরিবহন ধর্মঘটে কেউ যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর