বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কারখানার খোপে ঘুমাচ্ছিলেন সেই ৫ শ্রমিক

  •    
  • ৫ নভেম্বর, ২০২১ ১৪:১৬

কারখানায় কেমিক্যালের ড্রাম দেখা যায়। এ ছাড়া জুতা বানানোর কাজে ব্যবহার করা প্রচুর প্লাস্টিক ও রাবারের স্তূপ দেখা যায় সেখানে। আগুনে এসব প্লাস্টিক ও রাবারসহ কেমিক্যাল পুড়ে যায়।

রাজধানীর সোয়ারীঘাট এলাকার কামালবাগে রোমানা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ নামে জুতার কারখানায় শ্রমিকদের ঘুমানোর জন্য বানানো হয়েছিল খোপ। সেই খোপে ঘুমাচ্ছিলেন অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারানো পাঁচ শ্রমিক।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন আরও দুজন।

পাঁচজনের মরদেহ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। দগ্ধদের ভর্তিও করা হয় সেখানে।

ঘটনাস্থলে আলামত সংগ্রহ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট।

সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেহগুলো বেশি পুড়ে যাওয়ায় ডিএনএ পরীক্ষার ছাড়া এগুলো শনাক্ত করা যাবে না।

কেমন ছিল কারখানার পরিবেশ

সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানান, একতলা কারখানার আশপাশে একাধিক কেমিক্যালের দোকান রয়েছে। কারখানাটির পাশে কাঁচাবাজারে থাকা মালামাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পুড়ে গেছে।

আবাসিক এলাকার পাশেই কারখানাটি। বার্মিজ ও স্পঞ্জের জুতা তৈরি করা হতো সেখানে। জুতা তৈরিতে ব্যবহার হতো প্রচুর পরিমাণে রাবার, প্লাস্টিক ও কেমিক্যাল।

কারখানায় কেমিক্যালের ড্রাম দেখা যায়। এ ছাড়া জুতা বানানোর কাজে ব্যবহার করা প্রচুর প্লাস্টিক ও রাবারের স্তূপ দেখা যায় সেখানে।

আগুনের কারণে এসব প্লাস্টিক ও রাবারসহ কেমিক্যাল পুড়ে যায়। এসব দাহ্য পদার্থের কারণেই আগুন বিশাল আকার ধারণ করে বলে মনে করা হচ্ছে।

স্থানীয় রফিক উদ্দিন বলেন, “আমি পাশের একটা দোকানে থাকি রাতে। রাত ১টার দিকে বিশাল একটা সাউন্ড শুনি। এর পরেই ‘আগুন, আগুন’ বলে চিৎকার শুনতে থাকি। আমি আসতে আসতে দেখি আগুন বিশাল আকার ধারণ করেছে।”

তিনি আরও বলেন, ‘বার্মিজ জুতা বানাতে ডিওপি তেল, প্লাস্টিক ও রাবার ব্যবহার করা হয়। এসব জিনিস থাকায় আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে।’

মরদেহ শনাক্তে লাগবে ডিএনএ পরীক্ষা

ঘটনাস্থলে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের প্রধান পরিদর্শক সাইফুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘আগুনের ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করে আমরা বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করেছি। এখানে কিছু কেমিক্যালসদৃশ আলামত সংগ্রহ করেছি। সেগুলো সিআইডির রাসায়নিক ল্যাবে পরীক্ষা করলে তারপর বলা যাবে আসলে এগুলো দাহ্য পদার্থ ছিল কি না।

‘ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া পাঁচটি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করতে আমরা হাসপাতালে গিয়েছিলাম, কিন্তু মরদেহগুলো আগুনে মারাত্মকভাবে পুড়ে যাওয়ায় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া মরদেহগুলো শনাক্ত করা যাবে না।’

কারণ এখনও অজানা

ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপপরিচালক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে কী কারণে বা কীভাবে এই আগুনের সূত্রপাত, তা প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি।

‘তবে ঘটনাস্থলে প্রচুর পরিমাণে রাবারজাতীয় কাঁচামাল পাওয়া গেছে। রাবার একধরনের পেট্রোলিয়ামজাতীয় পদার্থ। এ ছাড়া ডিওপি তেল মজুত ছিল, যা দাহ্য পদার্থ।’

এ বিভাগের আরো খবর