জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার ঘটনায় ভাড়া সমন্বয়ের দাবিতে সারা দেশের মতো চুয়াডাঙ্গাতেও অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। তবে রাস্তায় চলছে ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ পণ্যবাহী বিভিন্ন পরিবহন।
শুক্রবার সকাল থেকেই জেলার সবকটি রুটে বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরিণ বাস চলাচল। গন্তব্যে পৌঁছাতে বিকল্প পরিবহন হিসেবে চলছে ইজিবাইক, অটোরিকশা, পাখিভ্যান।
যাত্রীদের অভিযোগ, গন্তব্যে পৌঁছাতে বাসের চেয়েও কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে এসব যানবাহনে।
জরুরি কাজে আলমডাঙ্গায় যেতে হবে ব্যবসায়ী মিনাজ উদ্দিনকে। উপায় না পেয়ে বাসের থেকেও বেশি ভাড়া দিয়ে ইজিবাইকেই যেতে হচ্ছে।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকাল থেকে বাস বন্ধ। আলমডাঙ্গায় যেতে বাস ভাড়া লাগে ২৫ টাকা লাগে। কিন্তু ইজিবাইকে ভাড়া চাচ্ছে ১০০ টাকা। এখন ভাড়া বেশি লাগলেও যেতে হচ্ছে।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আবির হোসেন। হঠাৎ বাস বন্ধের সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন তিনি।
আবির বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু হয়েছে। আমি জরুরি কাজে বাড়ি এসেছিলাম। কিন্তু আগামীকাল (শনিবার) আমাকে ক্লাসে উপস্থিত হতে হবে। চট্টগ্রামে বাস ছাড়া অন্য পরিবহনে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না।’
দামুড়হুদা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আব্দুর রহিম তার মা আমেনা খাতুনকে নিয়ে কুষ্টিয়ায় যাবেন চিকিৎসকের কাছে।
তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম না বাস ধর্মঘট শুরু হয়েছে। সকাল থেকেই বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছি। বিকল্প কোনো পরিবহনই পাচ্ছিনা। ইজিবাইকে অনেক বেশি ভাড়া চায়।’
জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘আসলে তেলের দাম বাড়ায় কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলার সবকটি রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তেলের দাম বাড়ালে তো পরিবহনের ভাড়াও বাড়াতে হবে। হয় তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে অথবা পরিবহনের ভাড়া বাড়াতে হবে। অন্যথায় অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট চলবে।’
জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাবিবুর রহমান লাভলু জানান, ‘মূলত চুয়াডাঙ্গা জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে চলাচল করছে ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ পণ্যবাহী পরিবহন। এগুলোর বিষয়ে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত আসেনি। আগামীকাল (শনিবার) সিদ্ধান্ত হতে পারে।’