বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শেখেরটেকে ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধ

  •    
  • ৫ নভেম্বর, ২০২১ ০১:১০

শেখেরটেক ১০ নম্বর রোডের বাসিন্দা শাহিদা আক্তার জানান, তার পরিবারে কয়েকজন পানিবাহিত রোগে ভুগছেন। পানির দুর্গন্ধের বিষয়টি নিয়ে তিনি অনেক আগেই ঢাকা ওয়াসার কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। ৯ নম্বর রোডের রফিক হাউজিং এলাকায় থাকেন গাড়িচালক আব্দুর সাকুর। তিনি বলেন, গত ২ বছর ধরে আমি এই এলাকায় থাকছি। পানির মধ্যে প্রায় দুর্গন্ধ থাকে। পানি ফুটালেও সেই গন্ধ যায় না। এ বিষয়ে বাড়িওয়ালাকে বলেও কোন সমাধান হয়নি বলেও জানান তিনি। এ কারণে অনেক ভাড়াটিয়া এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।

ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন রাজধানীর শেখেরটেক এলাকায় দুটি সড়কের বাসিন্দারা। এদের কয়েকজন জানিয়েছেন, ঢাকা ওয়াসার কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েও কোন সমাধান পায়নি তারা।

মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক এলাকার ১০ নম্বর সড়কের একটি বাসায় থাকেন মোহাম্মদ ওসমান। একই সড়কে তার দোকান রয়েছে। ওই এলাকায় পানিতে দুর্গন্ধ আছে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এই এলাকায় প্রায় ৭-৮ বছর ধরে থাকি। প্রায় ৩ মাস ধরে পানি আসছে ময়লা ও লালচে রংয়ের। এতো ময়লা যে দেখলে খাওয়া তো দূরের কথা গোসল করতেও মন চায় না। পানিতে দুর্গন্ধ তো আছেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেক ভাড়াটিয়াই এখন এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। দূষিত পানির কারণে অনেকে অসুস্থ্য হয়ে যাচ্ছেন। অনেকে পেটের অসুখে ভুগছেন। আমার নিজেরই মাথার চুল ঝরে যাচ্ছে।’

তিনি আরও জানান, ‘এখানকার বাড়িওয়ালারা ঢাকা ওয়াসায় অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু এখনও তো কোন সমাধান দেখছি না।

শেখেরটেক ১০ নম্বর রোডের বাসিন্দা শাহিদা আক্তার। তিনি নিউজবাংলাকে জানান, তার পরিবারে কয়েকজন পানিবাহিত রোগে ভুগছেন। পানির দুর্গন্ধের বিষয়টি নিয়ে তিনি অনেক আগেই ঢাকা ওয়াসার কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ দিয়েছেন।

মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক ৯ নম্বর রোডের রফিক হাউজিং এলাকায় থাকেন গাড়িচালক আব্দুর সাকুর। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, গত ২ বছর ধরে আমি এই এলাকায় থাকছি। পানির মধ্যে প্রায় দুর্গন্ধ থাকে। পানি ফুটালেও সেই গন্ধ যায় না। এ বিষয়ে বাড়িওয়ালাকে বলেও কোন সমাধান হয় নি বলেও জানান তিনি।

তিনি জানান, এলাকায় অনেকে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এ কারণে অনেক ভাড়াটিয়াই বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।

রফিক হাউজিংয়ে থাকেন পারভীন আক্তারও। তিনি জানালেন, এই এলাকায় আমি আসার পর থেকেই পানিতে দুর্গন্ধ পাচ্ছি।

তিনি বলেন, ‘এখানে অনেকেই বলে এটা অনেক আগের সমস্যা। তবে কোনও সমস্যার সমাধান হতে দেখি না।’

এমন অবস্থায় ওয়াসা কর্তৃপক্ষের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন ভোক্তভোগী বাসিন্দারা। তবে ঢাকা ওয়াসা বলছে, সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে। খুব শিগগিরই এর সমাধান হবে।

এ বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন,‘ এ সমস্যার বিষয়ে আমরা অবগত। সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ পানি সরবরাহ পাইপের কোথায় লিকেজ হয়েছে তা খুঁজে বের করতে কাজ চলছে। এ জন্যই কয়েকদিন বেশি সময় লেগেছে। তবে আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর