বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ঢাকা তো যাওয়াই লাগবে’

  •    
  • ৫ নভেম্বর, ২০২১ ০০:৫২

রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, ‘কেউ চাইলে ধর্মঘট পালন করতে পারে। সন্ধ‍্যায় আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে, সমিতি ধর্মঘটে যাবে না। তবে মালিকদের কেউ যদি গাড়ি না চালায়, সেটা নিয়েও সমিতি কিছু বলবে না।’

ঢাকা যেতে রংপুর মডার্ণ মোড়ে বাসের অপেক্ষা করছিলেন সিরাজুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করেও ভালো গাড়ি পাননি তিনি। এরই মাঝে সংবাদ পেয়েছেন মধ্যরাত থেকে শুরু হতে পারে বাস ধর্মঘট।

চরম উৎকণ্ঠা নিয়ে আলিফ পরিবহন নামে একটি বাসে উঠে বসেন তিনি। ক্ষোভ জানিয়ে সিরাজুল বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে নিয়ে কারও চিন্তা নেই। পরীক্ষাসহ জরুরি কাজ আছে অনেকের। যেমন করে হোক, ঢাকা তো যাওয়াই লাগবে।’

ছেলের পরীক্ষার জন্য ঢাকায় যাচ্ছেন আব্দুর রশীদ। পরিবহন ধর্মঘটসহ পরিস্থিতি দেখে সঠিক সময়ে ঢাকা পৌঁছা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তিনিও।

ডিজেলের দাম বাড়ানোর কারণে বাসভাড়া পুনর্নির্ধারণের দাবিতে বিভিন্ন জেলায় যাত্রী পরিবহন বন্ধের ঘোষণা এসেছে। রংপুরেও শুক্রবার থেকে যানবাহন ছেড়ে যাবে না এবং ঢুকতে পারবে না বলে জানিয়েছে রংপুর জেলা পণ্যবাহী ট্রাক ও ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়ন।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মানিক রাত দশটায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতি ধর্মঘটের ডাক না দিলেও সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, ‘কেউ চাইলে ধর্মঘট পালন করতে পারেন। সন্ধ‍্যায় আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে, সমিতি ধর্মঘটে যাবে না। তবে মালিকদের কেউ যদি গাড়ি না চালায়, সেটা নিয়েও সমিতি কিছু বলবে না।’

রাতে রংপুরের বিভিন্ন বাস কাউন্টারে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। ধর্মঘটের খবর শুনে অনেকেই রাতের মধ্যে ঢাকা যেতে চাইছেন। কতোদিন ধর্মঘট চলবে, তা নিয়ে নানা মত যাত্রীদের।

জেসমিন আরা নামের এক যাত্রী বলেন, ‘বিকেলে টেলিভিশন দেখছিলাম। তখন ধর্মঘটের কথা জানতে পারলাম। ঢাকায় জরুরি কাজ আছে, তাই বের হলাম। কিন্তু ভালো গাড়ি পাচ্ছি না।’

রংপুর কামারপাড়ায় নাবিল পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার রানা মিয়া বলেন, ‘বিকেলেই টিকিট শেষ হয়ে গেছে। এখন অনেক যাত্রী হাজির। রাতের কোনো টিকিট নাই। অনেকে টিকিট চাচ্ছেন, কিন্তু না থাকলে দিব কোত্থেকে। যাত্রীর চাপ বেশি, কিন্তু টিকিট একদম নাই।’

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার ( মিডিয়া) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘সমস্যাটা জাতীয়ভাবে সমাধান হবে। স্থানীয়ভাবে কিছু করার নেই। তবে আমরা খেয়াল রাখছি, যেন ধর্মঘটের নামে অপ্রীতিকর কিছু না ঘটে।’

এ বিভাগের আরো খবর