বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নৌকা-স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ৪১

  •    
  • ৫ নভেম্বর, ২০২১ ০০:১৯

জখম হওয়া পাঁচ জনসহ গুরুতর আহত চার জনকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ও অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। জখম হওয়া শাখাওয়াত, শাওন, আলমগীর, কামাল ও রিপন সবাই নৌকার সমর্থক। প্রত্যক্ষদর্শী ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ সেলিম বলেন, ‘রাত ১০টায় পরীরখাল বাজার থেকে পুলিশ পাহারায় কর্মীদের নিয়ে ফেরার পথে স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) বাদলের সমর্থকরা পেছন থেকে নৌকা সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এতে ২০ জন নৌকার সমর্থক আহত হন।’

বরগুনার এম বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রচারণায় নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩৬ জন আহত ও পাঁচ জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।

জখম হওয়া পাঁচ জনসহ গুরুতর আহত চার জনকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ও অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

জখম হওয়া শাখাওয়াত, শাওন, আলমগীর, কামাল ও রিপন সবাই নৌকার সমর্থক।

প্রত্যক্ষদর্শী ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ সেলিম বলেন, ‘রাত ১০টায় পরীরখাল বাজার থেকে পুলিশ পাহারায় কর্মীদের নিয়ে ফেরার পথে স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) বাদলের সমর্থকরা পেছন থেকে নৌকা সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এতে ২০ জন নৌকার সমর্থক আহত হন। এছাড়াও রিপন ও শাখাওয়াতসহ পাঁচ জনকে কুপিয়ে জখম করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা। জখম দুজনকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অন্যদের নাম জানা যায়নি।’

বরগুনায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণায় নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষের জখম হন নৌকার সমর্থক শাখাওয়াত। ছবি: নিউজবাংলা

এ ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ বারী বাদলের মামাতো ভাই নজরুল ইসলামকে আটক করেছে বরগুনা থানা পুলিশ।

এছাড়াও ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত তিনটি স্থানে নৌকা ও স্বতন্ত্র (আনারস) প্রার্থীর প্রচারণায় সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের ১৬ জন আহত হন।

ওই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে নাজমুল ইসলাম নাসির নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল বারী বাদলের সমর্থকের সঙ্গে নৌকার প্রার্থী নাসিরের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) আবদুল বারি বাদল বলেন, ‘সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আনারসের কর্মীরা মিছিল নিয়ে লাকুরতলা স্কুল মাঠে পথসভায় অংশ নেয়ার জন্য রওনা করে। পথে মনসাতলী নামক স্থানে নৌকার প্রচার কার্যালয় থেকে কর্মীরা বের হয়ে বাঁধা দেয়। এ নিয়ে সেখানে বাক-বিতণ্ডা হলেও পরে নৌকার কর্মীরা পিছু হটে।

‘সন্ধ্যা সাতটার দিকে আনারসের পথসভা চলাকালীন সভাস্থলের কাছেই লাকুরতলা স্ট্যান্ডে মোজাম্মেল মুসল্লী নামের এক আনারস সমর্থককে নৌকার সমর্থকরা মারধর করে,’ যোগ করেন তিনি।

অপরদিকে, এ ঘটনায় আনারস প্রতীকের প্রার্থী আবদুল বারী বাদলের দাবি, দফায় দফায় হামলার ঘটনায় স্বতন্ত্র সমর্থক শুক্কুর, মোজাম্মেল, হানিফ, সিরাজ ও আব্বাস নামের পাঁচজন আহত হয়েছেন।

রাত সাড়ে আটটার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক আবু হানিফকে চিকিৎসার জন্য বরগুনা নিয়ে যাওয়ার পথে লাকুরতলা এলাকায় নৌকার কর্মীরা ফের হামলা চালায়। এসময় তারা অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর ও আব্বাস নামের আরও একজনকে মারধর করে।

নৌকার সমর্থক ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হালিম জানান, ছোনবুনিয়া এলাকা থেকে পথসভা শেষ করে ফেরার পথে পরীরখাল এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ বারী বাদলের বাড়ির সামনে তার সমর্থকরা নৌকার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায়, নৌকা সমর্থক সোহাগ, টুকু, সজীব পনু মাঝি, রাকিব, সুমন বেপারি, কামাল ও সোহাগ নামের আটজন নৌকার কর্মী আহত হয়েছেন।

নৌকার প্রার্থী নাজমুল ইসলাম নাসির বলেন, ‘পথসভা থেকে ফেরার পথে স্বতন্ত্র প্রার্থী বাদলের ইন্ধনে তার কর্মীরা আমার কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার আটজন কর্মী আহত হয়েছেন। এরপর পুলিশ প্রকেটশনে ফেরার পথে পেছন থেকে বাদলের লোকজন আমার কর্মীদের এলোপাতাড়ি পেটায় ও ইট নিক্ষেপ ও কুপিয়ে জখম করে। এই ঘটনার উসকানিদাতা বাদল। তাকে গ্রেপ্তার না করলে নির্বাচনের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ থাকবে না।’

আনারস প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ বারী বাদল বলেন, ‘নৌকার প্রার্থী নাসির আমার শান্তিপূর্ণ প্রচারণায় কর্মীদের উসকানি দিয়ে দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে। আমি এখন অবরুদ্ধ। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে আমি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের আরও জোরালো ভূমিকার দাবি জানাই।’

বাড়ির সামনে নৌকার কর্মীদের ওপর হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নৌকার কর্মীরা আমার বাড়িতে থাকা কর্মীদের দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করে। আমরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছি।’

বরগুনা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পৌঁছে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় নজরুল ইসলাম নামের একজনকে আটক করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিত এখন স্বাভাবিক। আমরা নির্বাচনে প্রচারণার পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে কঠোর অবস্থানে রয়েছি।’

এ বিভাগের আরো খবর