দীপাবলি শব্দের অর্থ প্রদীপের সমষ্টি। আলোক শিখার ঔজ্জ্বল্যে ও উত্তাপে অন্ধকার কেটে আসবে আলো, বিরাজ করবে শান্তি- এর জন্যই দীপাবলি আয়োজন। বাংলাদেশে এটি কালীপূজা নামে বেশি পরিচিত।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর রমনা কালী মন্দিরে প্রদীপ ও মোম জ্বালিয়ে অন্ধকার দূর করার প্রার্থনা ও আচারে মেতেছিলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ।
দুর্গাপূজার সময় কুমিল্লা, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকেই ঘরবাড়ি খুইয়েছেন। শারীরিক আহত হওয়ার পাশাপাশি সহিংসতায় মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে।
এমন বাস্তবতায় সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে দীপাবলিতে প্রদীপ জ্বলবে না বলে ঘোষণা এসেছিল। তবে দীপাবলি যেন সব অন্ধকার দূর করে নিয়ে এল সম্প্রীতি।
সাম্প্রদায়িক হামলার অন্ধকার পেরিয়ে সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে দীপাবলির আয়োজন। ছবি: নিউজবাংলারমনা কালী মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আয়োজনের কোনো কমতি রাখিনি বা আয়োজন ছোট করে ফেলিনি। মানুষের যে ঢল দেখছি তাতে এখন আর সাম্পদায়িক সহিংসতার কথা মনে করতে চাই না। সবাই সবার মতো করে, মনের আনন্দে দীপাবলিতে অংশ নিয়েছে।’
রমনা কালী মন্দিরে রাত ১২টা ১ মিনিটে পূজার মাধ্যমে শেষ হয় দীপাবলির পূজার আনুষ্ঠানিকতা।