বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাস ধর্মঘটেও হবে নিয়োগ পরীক্ষা

  •    
  • ৪ নভেম্বর, ২০২১ ২৩:২১

ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্য সচিব আজিজুর রহমান বলেন, ‘অনেক আগেই পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের করার কিছু নেই। পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।’ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমানের বক্তব্যও তা-ই।

ডিজেলের দাম বাড়ানোর কারণে বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি শুক্রবার কেন্দ্রীয়ভাবে পরিবহন মালিক সমিতিও বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে, বাস না চললেও শুক্রবারের নিয়োগ পরীক্ষাগুলো ঠিকই অনুষ্ঠিত হবে।

একাধিক নিয়োগ কর্তৃপক্ষ বলছে, পরীক্ষার তারিখ আগে থেকেই নির্ধারণ করা আছে। হঠাৎ করে বাস ধর্মঘটের ঘোষণা এলেও পরীক্ষা পেছানোর সুযোগ নেই।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ আছে কি-না জানতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে জনপ্রশাসনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ শিবলী সাদিক বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। নতুন কোনো সিদ্ধান্ত এলে জানানো হবে।

জানতে চাইলে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্য সচিব আজিজুর রহমান বলেন, ‘অনেক আগেই পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের করার কিছু নেই। পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।’

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমানের বক্তব্যও তা-ই। তিনি বলেন, ‘অনেক আগেই পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। হঠাৎ করে ধর্মঘটের ঘোষণা এলো। পরীক্ষা বাতিল চাইলেই সম্ভব নয়। এর সঙ্গে অনেক বিষয় জড়িত।’

চাকরিপ্রার্থীরা যা বলছেন

চাকরিপ্রত্যাশীরা বলছেন, বেকার জীবনে তারা এমনিতেই পরিবারে এক ধরনের বোঝা হয়ে আছেন। তার ওপর চাকরির জন্য আবেদন করা ও পরীক্ষা কেন্দ্রে যাতায়াতের টাকাটাও পরিবার থেকেই নিতে হয়।

অনেকেই জানিয়েছেন, করোনা মহামারি শেষে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হলেও একাধিক পরীক্ষা একই সময়ে অনুষ্ঠিত হওয়ায় তারা কোনো একটিকে বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। শুক্রবারও এমন বেশ কিছু পরীক্ষা রয়েছে। এর মধ্যে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হলে কেন্দ্রে যাতায়াত করতে গিয়ে তাদের বিপাকে পড়তে হবে।

রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের মার্কেটিং বিভাগ থেকে মাস্টার্স পাস করা কল্লোল সাহা বলেন, ‘করোনার কারণে দীর্ঘদিন চাকরির পরীক্ষা দেয়া সম্ভব হয়নি। কাঙ্ক্ষিত সেই পরীক্ষা এখন শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকালে একটি এবং বিকেলে একটি নিয়োগ পরীক্ষা আমার। হঠাৎ করে ধর্মঘটের ঘোষণা আসায় কীভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাব, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’

একই কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করা কাওসার আহমেদ।

এ নিয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ক্ষোভ প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

শুক্রবার যেসব নিয়োগ পরীক্ষা

শুক্রবার সকালের পালায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, কর কমিশনারের কার্যালয়, কর অঞ্চল-১৪, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, শ্রম আদালত, সিলেট; বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট, খাদ্য অধিদপ্তর, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের নিয়োগ পরীক্ষা।

বিকেলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে সমন্বিত সাত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পল্লী উন্নয়ন অ্যাকাডেমি, শ্রম আদালত, সিলেট (দ্বিতীয় শিফট), বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর (দ্বিতীয় শিফট) এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ (দ্বিতীয় শিফট)-এর পরীক্ষা।

এ বিভাগের আরো খবর