বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরিবহন নিয়ে উদ্বেগে নিয়োগ পরীক্ষার্থীরা

  •    
  • ৪ নভেম্বর, ২০২১ ২১:৪৬

নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্রে কীভাবে যাতায়াত করবেন, সেটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাকরিপ্রার্থীরা। অনেকেই ঢাকার বাইরে থেকে সরাসরি এসে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে থাকেন। তারাও সমস্যায় পড়েছেন। এ ছাড়া রাজধানী ঢাকায় গাড়ি না চললে মোটামুটি সব পরীক্ষার্থীকেই ভোগান্তিতে পড়তে হবে।

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে পরিবহন সংশ্লিষ্ট একাধিক সংগঠন সারা দেশে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। বিভিন্ন জেলায় একাধিক সংগঠন শুক্রবার ভোর থেকে সড়কে বাস না নামানোর ঘোষণা দিয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে এই কর্মসূচিকে সমর্থন দেয়ার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ।

এমন পরিস্থিতে বিপদে পড়েছেন চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষার্থীরা।

পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শুক্রবার ২৬টি নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৭টি সকালে এবং ৯টি বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে। এসব পরীক্ষা রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় চাকরিজীবীদের শুক্রবার রাস্তায় না নামলেও চলবে। কিন্তু নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্রে কীভাবে যাতায়াত করবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাকরিপ্রার্থীরা। অনেকেই ঢাকার বাইরে থেকে সরাসরি এসে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে থাকেন। তারাও সমস্যায় পড়েছেন। তা ছাড়া রাজধানী ঢাকায় গাড়ি না চললে মোটামুটি সব পরীক্ষার্থীকেই ভোগান্তিতে পড়তে হবে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ আছে কি না, তা জানতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে জনপ্রশাসনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ শিবলী সাদিক বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। নতুন কোনো সিদ্ধান্ত এলে জানানো হবে।

তবে একাধিক নিয়োগ কর্তৃপক্ষই বলছে, পরীক্ষার তারিখ আগে থেকেই নির্ধারণ করা রয়েছে। হঠাৎ করে বাস ধর্মঘটের ঘোষণা এলেও পরীক্ষা পেছানোর সুযোগ নেই।

ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যসচিব আজিজুর রহমান বলেন, ‘অনেক আগেই পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের করার কিছু নেই।’

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমানের বক্তব্যও তা-ই। তিনি বলেন, ‘অনেক আগেই পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। হঠাৎ করে ধর্মঘটের ঘোষণা এলো। পরীক্ষা বাতিল চাইলেই সম্ভব নয়। এর সঙ্গে অনেক বিষয় জড়িত।’

চাকরিপ্রার্থীরা যা বলছেন

চাকরিপ্রত্যাশীরা বলছেন, বেকার জীবনে তারা এমনিতেই পরিবারে একধরনের বোঝা হয়ে আছেন। তার ওপর চাকরির জন্য আবেদন করা ও পরীক্ষা কেন্দ্রে যাতায়াতের টাকাটাও পরিবার থেকেই নিতে হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে যাতায়াত ভাড়াটাও তাদের জন্য বোঝা। করোনা মহামারি শেষে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হলেও একাধিক পরীক্ষা একই সময়ে অনুষ্ঠিত হওয়ায় তারা কোনো একটিকে বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। শুক্রবারও এমন বেশ কিছু পরীক্ষা রয়েছে। এর মধ্যে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হলে কেন্দ্রে যাতায়াত করতে গিয়ে তাদের বিপাকে পড়তে হবে।

রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের মার্কেটিং বিভাগ থেকে মাস্টার্স পাস করেছেন কল্লোল সাহা। তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে দীর্ঘদিন চাকরির পরীক্ষা দেয়া সম্ভব হয়নি। কাঙ্ক্ষিত সেই পরীক্ষা এখন শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকালে একটি এবং বিকেলে একটি নিয়োগ পরীক্ষা রয়েছে আমার। হঠাৎ করে ধর্মঘটের ঘোষণা আসায় কীভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাব, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’

একই কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করা কাওসার আহমেদ।

এ নিয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ক্ষোভ প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

শুক্রবার যেসব নিয়োগ পরীক্ষা

শুক্রবার সকালের পালায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, কর কমিশনারের কার্যালয়, কর অঞ্চল-১৪, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, শ্রম আদালত, সিলেট; বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট, খাদ্য অধিদপ্তর, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের নিয়োগ পরীক্ষা।

বিকেলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে সমন্বিত সাত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, শ্রম আদালত, সিলেট (দ্বিতীয় শিফট), বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর (দ্বিতীয় শিফট) এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ (দ্বিতীয় শিফট)।

এ বিভাগের আরো খবর