গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে গাড়ি ভাড়া করে চালককে চেতনানাশক ওষুধ ও মলম দিয়ে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নেয়া অজ্ঞান পার্টির তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন সোহেল রানা, জামাল ভূঁইয়া ও জামাল শিকদার।
বুধবার রামপুরা ও কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এই চক্রটি সিআইডি ও ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে গাড়ি ভাড়া করে চালককে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অথবা চোখে মলম দিয়ে নির্জন স্থানে ফেলে রেখে প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, সিএনজি, ইজিবাইক ছিনতাই করত। ছিনতাই করা এসব গাড়ি অন্যত্র বিক্রি করে আসছিল তারা।
‘এ ছাড়া সংঘবদ্ধ অপরাধীরা প্রতারণা করে সাধারণ মানুষকে অল্প টাকায় বিদেশি মুদ্রা বিক্রি করার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের ওই গাড়িতে তুলে চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করে তাদের কাছে থাকা মোবাইল ফোন, টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করে তাদের নির্জন স্থানে ফেলে রেখে যেত।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিআইডি ঢাকা মেট্রো-পশ্চিমের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে রামপুরা, কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে এই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার ও তাদের ব্যবহৃত একটি গাড়ি জব্দ করে। তাদের কাছে চেতনানাশক ওষুধ ও ওমানের মুদ্রা পাওয়া যায়। চক্রটি মিরপুর, মাওয়া, কেরানীগঞ্জ এলাকায় এ ধরনের অপরাধ করে আসছিল। আসামিদের বিরুদ্ধে এ ধরনের একাধিক মামলা তদন্তাধীন।’
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে একটি এলিয়ন প্রাইভেট কার, ৫০টি ওমানের নোট ও পাঁচ পাতা চেতনানাশক ওষুধ জব্দ করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে রামপুরা থানায় মামলা হয়েছে।