রাজধানীর পল্লবীতে মাদ্রাসা দখলের সংবাদ সংগ্রহের সময় হামলার শিকার হয়ে উল্টো নিজেরাই আসামি হওয়া আহত চার সাংবাদিককে জামিন দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীম তাদের জামিন অনুমোদনের এ আদেশ দেন।
চার সাংবাদিক হলেন বাংলানিউজের স্টাফ করেসপনডেন্ট মিরাজ মাহবুব ইফতি, দৈনিক বাংলাদেশের আলোর সিনিয়র রিপোর্টার জহিরুল ইসলাম, অনলাইন পোর্টাল জাগো কণ্ঠের ক্যামেরাপারসন মো. আলী ও সাপ্তাহিক নতুন বার্তার সম্পাদক ইউসুফ আহমেদ তুহিন।
এদিন তারা আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক মো. সেলিম।
২৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর পল্লবী থানার পলাশনগরে একটি মাদ্রাসা দখলের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে হামলার শিকার হন ওই চার সাংবাদিক।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় যুবলীগ নেতা আল মাহমুদ নয়ন ও তার সহযোগীরা সাংবাদিকদের ওপর এই হামলা চালান।
আহত সাংবাদিক ইউসুফ আহমেদ তুহিন বলেন, ‘ওই দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে জানতে পারি, একদল সন্ত্রাসী পলাশনগরে একটি মাদ্রাসা দখল করছে। পল্লবী থানার সেকেন্ড অফিসার কাওসারকে জানিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য বাংলানিউজের স্টাফ করেসপনডেন্ট মিরাজ মাহবুব ইফতি, দৈনিক বাংলাদেশের আলোর সিনিয়র রিপোর্টার জহিরুল ইসলাম ও অনলাইন পোর্টাল জাগো কণ্ঠের ক্যামেরাপারসন মো. আলীসহ ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় দেখতে পাই, যুবলীগ নেতা নয়ন ও তার সহযোগীরা পলাশনগরের বেলতলা ১০০ দাগ এলাকায় অবস্থিত আনোয়ারুল উলুম মাদ্রাসা থেকে শিক্ষক ও ছাত্রদের পিটিয়ে বের করে দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে যুবলীগ নেতা নয়ন, আনোয়ার, আজমান, জালাল, বাদলসহ প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন অস্ত্রসহ আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় নয়নের সঙ্গে থাকা আজমান নামের এক যুবক তার কোমর থেকে পিস্তল বের করে আমার মাথায় ও কপালের ওপর আঘাত করে। পরে সহকর্মী ও স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে পরে ওই রাতে পল্লবী থানায় একটি অভিযোগ করেছি।’
অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ডের আগেই হামলাকারীদের মধ্যে আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি মারধর, চুরিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ওই চার সাংবাদিকের নামে মামলা করেন।