করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে ২৪৭ জনের দেহে। করোনায় আগের দিন বুধবারও সাতজনের মৃত্যু হয়। শনাক্ত হয় ২৫৬জন।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত এক দিনে মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে চারজন পুরুষ, বাকি তিনজন নারী। তাদের মধ্যে চল্লিশোর্ধ্ব ১, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২, ষাটোর্ধ্ব ৩ ও সত্তরোর্ধ্ব একজন।
বিভাগওয়ারি সর্বোচ্চ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকায়। রংপুর ও ময়মনসিংহে মারা গেছে দু’জন করে। এছাড়া খুলনা ও সিলেটে একজন করে মারা গেছে।
গত এক দিনে করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ২২৭ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫ লাখ ৩৪ হাজার ৩০০জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭০ শতাংশ।
দেশে এ নিয়ে মোট ১৫ লাখ ৭০ হাজার ৪৮৫ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৮৮৭ জনের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো দেশে পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসছে বলে ধরা হয়। সে অনুযায়ী বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সরকারের লক্ষ্য এই হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা। ইতোমধ্যে চার জেলায় করোনা সংক্রমণ শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।
দেশে গত বছরের মার্চে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। বছরের শেষে তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এলেও চলতি বছরের এপ্রিলের আগে আবার বাড়তে শুরু করে। এর মধ্যে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে এপ্রিলের শুরুতে লকডাউন এবং ১ জুলাই থেকে শাটডাউন দেয় সরকার।
সংক্রমণ কমে আসার পর আগস্টের মাঝামাঝি থেকে ধীরে ধীরে সব বিধিনিষেধ তুলে নেয়া শুরু হয়। ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। করোনা সুরক্ষার অংশ হিসাবে স্কুল শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে। সে লক্ষ্যে রাজধানীর আটটি স্কুলে টিকাদান কেন্দ্র খোলা হয়েছে।