বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাছ ব্যবসায়ীকে হত্যায় মৃত্যুদণ্ড

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৪ নভেম্বর, ২০২১ ১৭:৫২

ডুমুরিয়ায় মাহবুবের ঘেরের ব্যবসা ছিল। সেখানে কাজ করতেন মিন্টু। ঘেরে থাকা অবস্থায় প্রায়ই তিনি কর্মচারীদের সঙ্গে মাদক সেবন করতেন। ২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর রাতে মাদক কেনার টাকা নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে মাহবুবকে কুপিয়ে হত্যার পর পালিয়ে যান মিন্টু।

খুলনার ডুমুরিয়ায় মাছ ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান মাহবুবকে হত্যার দায়ে আসামি মিন্টু রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। হত্যা মামলার আরেক ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক তসনীম জোহরা বৃহস্পতিবার দুপুরে এই রায় দেন।

আসামি মিন্টু পলাতক। তার বাড়ি ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর গ্রামে।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী এস এম আবুল কালাম আজাদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডুমুরিয়া উপজেলার চক আহসানখালীতে নিহত মাহবুবের ঘেরের ব্যবসা ছিল। সেখানে কাজ করতেন মিন্টু। ঘেরে থাকা অবস্থায় প্রায়ই তিনি কর্মচারীদের সঙ্গে মাদক সেবন করতেন। ২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর রাত ১২টার দিকে মাদক কেনার টাকা নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে মাহবুব মিন্টুকে চড় মারেন।

এর প্রতিশোধ নিতে রাত ১টার দিকে ঘেরের ভেতরে রাখা বঁটি দিয়ে মাহবুবকে কুপিয়ে হত্যার পর পালিয়ে যান মিন্টু। পরদিন মাহবুবের স্ত্রী গিয়ে মরদেহ দেখতে পান। তিনিই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে ডুমুরিয়া থানায় মামলা করেন।

মামলার তদন্তে নেমে ঘেরের কর্মচারী আলমগীর কবির খোকন ও জাহাঙ্গীর কবিরকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের মাধ্যমে মিন্টুকে ঝিকরগাছা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দেন।

পরে জামিনে মুক্ত হয়ে তিনি পলাতক।

২০১৩ সালের ২২ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডুমুরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তাজুল ইসলাম মিন্টুকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে আটক অন্য দুইজনকে। ২৫ জনের সাক্ষ্য নেয়ার পর এই রায় দেয় আদালত।

এ বিভাগের আরো খবর