বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৪ নভেম্বর, ২০২১ ১৭:১৯

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে চাল-ডাল-আটা-চিনি-ভোজ্যতেল ও রান্নার গ্যাসের দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধিতে শ্রমজীবী মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। এ মুহূর্তে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বাড়বে।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের খুলনা জেলা শাখা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের নেতারা এ প্রতিবাদ জানান।

এতে সই করেন এম হুমায়ুন কবির, আনোয়ার হোসেন, বরকত আলী, সুভাষ সাহা, সোয়েব শেখ ও হংস শুভ্র হালদার।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজার বিবেচনায় নিয়ে সরকার তেলের দাম না কমিয়ে প্রতি লিটারে ৩০ টাকা বেশি মুনাফা করেছে। সরকার আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার অজুহাতে দেশেও জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, বর্তমানে চাল-ডাল-আটা-চিনি-ভোজ্যতেল ও রান্নার গ্যাসের দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধিতে শ্রমজীবী মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। এ মুহূর্তে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম লাগামহীনভাবে বাড়বে।

শিগগিরই নিত্যপণ্যের দাম জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল নেতারা।

এক লাফে বাড়ল ২৩ শতাংশ

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশেও ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়িয়েছে সরকার। লিটারপ্রতি এক লাফে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়েছে। সে হিসাবে দাম এক লাফে বাড়ল ২৩ শতাংশ।

নতুন দাম বুধবার রাত ১২টা থেকে কার্যকর হয়।

প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর পর সরকার জ্বালানি তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করল। ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল সরকার জ্বালানি তেলের দাম কমিয়েছিল।

করোনা শেষে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ক্রমেই বাড়ছে। দাম এতটাই বেড়ে গেছে যে, কেবল গত অক্টোবরেই সরকার সোয়া ৭০০ কোটি টাকার বেশি লোকসান দিয়েছে।

নতুন দাম কার্যকর হওয়ায় ডিজেলে সরকার আর কোনো লোকসান দেবে না। বরং লিটারে দুই টাকার মতো মুনাফা করবে পেট্রোলিয়াম করপোরেশন।

বুধবার রাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

দেশে এর আগে কখনও এক লাফে এত বেশি হারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পেছনে যুক্তি তুলে ধরে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য ক্রমবর্ধমান। বিশ্ববাজারে ঊর্ধ্বগতির কারণে পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ জ্বালানি তেলের মূল্য নিয়মিত সমন্বয় করছে।ভারতে জ্বালানি তেলের দামের হিসাবও দেয়া হয় এতে। জানানো হয়, গত ১ নভেম্বর ভারতে ডিজেলের বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয় লিটারে ১০১ দশমিক ৫৬ রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় তা দাঁড়ায় ১২৪ টাকা ৪১ পয়সা।

আন্তর্জাতিক বাজার থেকে যে মূল্যে বাংলাদেশ তেল কেনে, সেটি বিবেচনায় নিলে ডিজেলে লিটারপ্রতি ১৩.০১ টাকা লোকসান হতো বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

বিজ্ঞপ্তিতে ডিজেলের পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের কথাও উল্লেখ করা হয়। ডিজেলের পাশাপাশি এই তেল লিটারে ৬.২১ টাকা কমে বিক্রি করায় সরকার প্রতিদিন প্রায় ২০ কোটি টাকা লোকসান দিচ্ছে বলেও জানানো হয়।

বলা হয়, কেবল অক্টোবর মাসে পেট্রোলিয়াম করপোরেশন বিভিন্ন গ্রেডের পেট্রোলিয়াম পণ্য বিক্রি করে ৭২৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা লোকসান দিয়েছে।

জ্বালানি তেলের দাম যে বাড়ছে, সেই ইঙ্গিত অবশ্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আগেই দিয়ে রেখেছিলেন। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকারকে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, ভর্তুকিরও একটা সীমা আছে।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে পরিবহন ভাড়া বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমনিতে পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বিপাকে সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করায় তাদেরকে পরিবহন ভাড়ার পাশাপাশি পণ্যমূল্যেও বেশি টাকা খরচ করতে হতে পারে।

এ বিভাগের আরো খবর