ঘাট ও ফেরি স্বল্পতায় ভোগান্তি বেড়েছে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে। পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে বাড়ছে যাত্রীবাহী যানবাহন। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে গন্তব্যে ছোটা মানুষগুলাকে। তবে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন ট্রাক চালকরা।
বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) সূত্রে জানা গেছে, ফেরি উল্টে যাওয়ার ঘটনায় ৫ নম্বর ঘাট বন্ধ রয়েছে। যান্ত্রিক সমস্যার কারণে রো রো ফেরি খান জাহান আলী ও ইউটিলিটি বনলতা পাটুরিয়ায় ভাসমান কারখানায় মেরামতে রয়েছে। সব মিলে এই রুটে ছোট-বড় ১৫টি ফেরি চলাচল করছে।
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে সরেজমিনে দেখা যায় বাস, ব্যক্তিগত ছোট পরিবহণ এবং পণ্যবাহী ট্রাক মিলে ৭ শর বেশি গাড়ি পারের অপেক্ষায় রয়েছে।
ট্রাকচালক সমেজ উদ্দিন বলেন, ‘গতকাল সকালে ঘাটে আইছি। আইজকা দুপুরে সিরিয়াল পাইছি। আধাঘণ্টার জায়গায় দুই দিন অপেক্ষা করে পার হইতেছি।’
বাসে বসেছিলেন ফরিদপুরের সেফালী বেগম। তিনি বলেন, ‘গাড়িতে বসে প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে ফেরির দেখা পাইছি। এই গরমের মধ্যে বাসে বসে থাকতে খুব বিরক্ত লাগে। ঘাটের লোকজন তো এসব বিষয়ে খোঁজ রাখতে পারে। মাঝে মধ্যেই দেখি ফেরি নষ্ট, ঘাটে সমস্যা। কবে এ সমস্যার সমাধান হবে কে জানে।’
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ১৮টি ফেরি মধ্যে ১৫টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। যান্ত্রিক সমস্যার কারণে দুটি মেরামতে আর একটি উল্টে গেছে। ৫ নম্বর ঘাটটিও বন্ধ রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যাত্রীদের সাময়িক সমস্যার জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা চেষ্টা করছি ফেরিগুলো দ্রুত মেরামত করে চালু করার।’
এর আগে ২৭ অক্টোবর ১৭টি ট্রাক নিয়ে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটে আমানত শাহ নামে একটি রো রো ফেরি আংশিক ডুবে যায়।