বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুত থাকতে হবে: নৌবাহিনীকে রাষ্ট্রপতি

  •    
  • ৪ নভেম্বর, ২০২১ ১৪:৪১

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই, কিন্তু আত্মমর্যাদা ও আত্মরক্ষায় আমরা আপসহীন। তাই দেশের সার্বভৌমত্বের পাশাপাশি আত্মমর্যাদা রক্ষায় নৌবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে। আধুনিক রণকৌশল ও তথ্যপ্রযুক্তিতেও নিজেদের দক্ষ ও পারদর্শী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’

সবার সঙ্গে বন্ধুত্বে বিশ্বাস করলেও আত্মমর্যাদা ও আত্মরক্ষায় বাঙালি জাতি আপসহীন বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তাই দেশের সার্বভৌমত্বের পাশাপাশি আত্মমর্যাদা রক্ষায় নৌবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপ্রধান।

চট্টগ্রামে বানৌজা শহীদ লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোয়াজ্জমকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই, কিন্তু আত্মমর্যাদা ও আত্মরক্ষায় আমরা আপসহীন। তাই দেশের সার্বভৌমত্বের পাশাপাশি আত্মমর্যাদা রক্ষায় নৌবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে। আধুনিক রণকৌশল ও তথ্যপ্রযুক্তিতেও নিজেদের দক্ষ ও পারদর্শী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’

আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বানৌজা শহীদ মোয়াজ্জমসহ নৌবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে আরও সুচারুরূপে ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনেরও নির্দেশ দিয়েছেন আবদুল হামিদ।

তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সর্বোচ্চ পেশাদারি মান বজায় রাখতে হবে। উপযুক্ত নেতৃত্ব, সঠিক দিকনির্দেশনা এবং বাহিনীর সব সদস্যের নিষ্ঠা, একাগ্রতা ও ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় নৌবাহিনী আগামী দিনগুলোতে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখবে।’

বিশাল সমুদ্রে নৌবাহিনীর কর্মক্ষেত্র উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আপনাদের পেশায় যেমন আছে চ্যালেঞ্জ, তেমনি আছে বিশালতার আহ্বান। দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখা এবং সমুদ্রে বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপত্তা প্রদানসহ সমুদ্রসম্পদকে কাজে লাগানোর পরিবেশ তৈরি ও সুরক্ষার গুরুদায়িত্ব আপনাদের ওপরই ন্যস্ত। আপনারা এই দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন এ বিশ্বাস আমার আছে।

প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ বিশাল সমুদ্রের ওপর বাংলাদেশ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অনেকটা নির্ভরশীল জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এ কারণে জাতীয় ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমুদ্র এলাকায় উন্নয়নবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

‘সেই সঙ্গে সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় মানব পাচার, চোরাচালান রোধ, জেলেদের নিরাপত্তা বিধান, বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করাসহ দেশের ব্লু ইকনোমির বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে নৌবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে আরও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।’

আবদুল হামিদ বলেন, ‘আপনাদের মনে রাখতে হবে আপনারা এ দেশেরই সন্তান। তাই দেশের মানুষের সুখে-দুঃখে তাদের পাশে থাকতে হবে। দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসতে হবে।’

জাতীয় উন্নয়ন ও সমুদ্রসম্পদ রক্ষায় বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে যুদ্ধজাহাজ সংগ্রহ এবং বানৌজা ঈসা খানসহ তিনটি নৌঘাঁটি কমিশনিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অগ্রযাত্রার সূচনা করেন বলে জানান রাষ্ট্রপতি।

বর্তমান সরকারের আন্তরিকতা ও পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী আজ একটি শক্তিশালী ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত বলেও মনে করেন রাষ্ট্রপতি। বলেন, ‘সরকার নৌবাহিনীর আধুনিকায়ন ও উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের পাশাপাশি যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলাসহ সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর