নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করছেন নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
শীতলক্ষ্যা নদীর তারাব ঘাট থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত কিশোরীর নাম ফাতেমা আক্তার সৃষ্টি। ১৭ বছরের সৃষ্টি রূপগঞ্জের চনপাড়া এলাকার সেলিম মিয়ার মেয়ে।
এখনও নিখোঁজ রয়েছেন জাবেদা বেগম নামের আরেক নারী।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ইছাপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মন্টু কুমার দাস।
তিনি বলেন, সকাল থেকে নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন। দুপুরে সৃষ্টির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার স্বজনরা ঘাটেই আছেন। তাদের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেয়া হবে।
এসআই মন্টু কুমার জানান, নৌকায় ধাক্কা দেয়া বাল্কহেডটি আটক করা হয়েছে। তবে এর চালকসহ অন্যরা পালিয়ে গেছে।
নিখোঁজ আরেক নারীকে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলসৃষ্টির মা নাহার বেগম বলেন, ‘১০ দিন আগে নোয়াপাড়া এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ শুরু করে সৃষ্টি। আমার দুইটা মেয়ের মধ্যে সৃষ্টি ছোট ছিল। আমাগো সংসারে অভাবের কারণে ও গার্মেন্টের কাজে লাগে। ওর ইচ্ছা আছিল পরিবারের পাশে থাকব।'
তিনি জানান, বুধবার সন্ধ্যায় কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিল সৃষ্টি। এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে রাত থেকেই ঘাটে রয়েছেন তারা।
নিখোঁজ জাবেদা বেগম চনপাড়া এলাকার তারা মিয়ার স্ত্রী।
তারা মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বাড়ি ফিরতে ওই নৌকায় উঠছিলাম। আমি ওরে (জাবেদা) নৌকায় রাইখা টাকা ভাঙাইতে গেছিলাম তখন নৌকা ছাইড়া দেয়। পরের নৌকা নিয়া নদীর মাঝখানে যাওয়ার পর দেখি অগো নৌকা বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুইবা গেল।’
ঢাকা ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক মোহাম্মদ প্রিন্স নিউজবাংলাকে জানান, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদলের সদস্যরা নিখোঁজ জাবেদার সন্ধানে পুরো নদীতেই তল্লাশি চালাচ্ছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় শীতলক্ষ্যা নদীর চনপাড়া-নোয়াপাড়া নৌঘাটের মাঝামাঝি স্থানে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যায় যাত্রীবোঝাই একটি নৌকা। সন্ধ্যায় ২০ যাত্রী নিয়ে নৌকাটি চনপাড়া থেকে নোয়াপাড়া যাচ্ছিল। মাঝনদীতে একটি দ্রুতগতির ট্রলার নৌকাটিকে ধাক্কা দিলে এটি ডুবে যায়। ১৮ জন সাঁতরে তীরে উঠে এলেও নিখোঁজ হন জাবেদা ও সৃষ্টি।