বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কুয়াশার কারণে রাতের ফ্লাইট চলবে দিনে

  •    
  • ৪ নভেম্বর, ২০২১ ০৯:৫৯

শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদ উল আহসান বলেন, ‘মূলত মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশা বেশি পড়ে, এই সময়টিতেই মূলত ডিজরাপশনটা হয়। রাত ২টা থেকে সকাল ৮টা-৯টা পর্যন্ত। এ সময়ে ফ্লাইট যাদের থাকে, তারা সাধারণত এগুলো দিনে নিয়ে আসেন। এই অ্যাডজাস্টমেন্টটা আমরা করি। এ বছরও এটা করা হয়েছে।’

প্রতিবছর শীত এলেই দেশের বিমানবন্দরগুলোতে তৈরি হয় নতুন সংকট। ঘন কুয়াশার কারণে প্রায়ই শোনা যায় ফ্লাইটসূচি এলোমেলো হওয়ার খবর। এ বছর যাতে এই পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সে জন্য মধ্য রাতের পরের ফ্লাইটগুলোকে দিনের সূচিতে নিয়ে আসতে এয়ারলাইনসগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

দেশের প্রধান বিমানবন্দর শাহজালালের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদ উল আহসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কুয়াশা পুরোপুরি প্রাকৃতিক বিপর্যয়, এটা আমরা রোধ করতে পারি না। কিন্তু এ বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা আমাদের ফ্লাইট অ্যাডজাস্টমেন্ট করি আগে থেকে, যেটিকে শীতকালীন সূচি বলা হয়। এবারও এটা করা হয়েছে, যাতে ফ্লাইট বিপর্যয়ের সম্ভাবনা কমে যায়।

‘এরই মধ্যে আমরা এয়ারলাইনসগুলোর কর্তৃপক্ষকেও ব্রিফ করেছি, যাতে তারা ফ্লাইটের পরিস্থিতি সময় সময় যাত্রীদের জানায়। যদি কোনো কারণে ফ্লাইট দেরিও হয়, তাহলে যাত্রীদের যেন তারা টেককেয়ার করে। ১২ ঘণ্টার বেশি হলে যেন হোটেলে নেয়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। এ বিষয়গুলো আমরা তাদের এরই মধ্যে বলেছি।’

তিনি বলেন, ‘মূলত মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশা বেশি পড়ে, এই সময়টিতেই মূলত ডিজরাপশনটা হয়। রাত ২টা থেকে সকাল ৮টা-৯টা পর্যন্ত। এ সময়ে ফ্লাইট যাদের থাকে, তারা সাধারণত এগুলো দিনে নিয়ে আসেন।

‘এই অ্যাডজাস্টমেন্টটা আমরা করি। এ বছরও এটা করা হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।

বৈরী আবহাওয়া বা ঘন কুয়াশায় ফ্লাইট ওঠানামায় বিশ্বের বিভিন্ন বিমানবন্দরে ব্যবহার করা হয় ইনসট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম (আইএলএস)। দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়া কোনোটিতেই নেই এ প্রযুক্তি।

ঢাকার হযরত শাহজালাল, সিলেটের ওসমানি ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যে আইএলএস প্রযুক্তি আছে, তাও পুরাতন। আর এ কারণে পাইলটের দৃষ্টিসীমা ৬০০ থেকে শূন্য মিটারের মধ্যে নেমে এলে ফ্লাইট উড্ডয়ন বা অবতরণ বাধাগ্রস্ত হয়।

সাধারণত বৈরী আবহাওয়া কিংবা ঘন কুয়াশার কারণে পাইলট খালি চোখে রানওয়ে দেখতে না পারলে নিরাপদ অবতরণের জন্য বিমানবন্দরগুলোতে আইএলএস প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এ পদ্ধতিতে প্রযুক্তির মাধ্যমে পাইলটের কাছে এক ধরনের বেতার তরঙ্গ পাঠানো হয়। এর মাধ্যমে সহজেই রানওয়ের অবস্থান শনাক্ত করতে পারেন পাইলট।

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যে আইএলএস প্রযুক্তি আছে, তার দৃষ্টিসীমা ৬০০ মিটার। কিন্তু শীতকালে ঘন কুয়াশায় প্রায়ই রানওয়ের দৃষ্টিসীমা নেমে আসে ৫০ থেকে শূন্য মিটারে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার কারণে কোনো ফ্লাইটকেই ওঠা-নামার অনুমতি দেয়া হয় না।

বিশেষ পরিস্থিতিতে ফ্লাইট পাঠানো হয় বিকল্প বিমানবন্দরে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে এয়ারলাইনস। এ কারণে বেশ কয়েক বছর ধরে আইএলএস প্রযুক্তির মানোন্নয়নের দাবি জানিয়ে আসছে এয়ারলাইনসগুলো।

শাহজালালের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদ উল আহসান বলেন, ‘আইএলএস ক্যাটাগরি উন্নিত করার প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে।’

বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফ্রান্সের থ্যালাসের কাছ থেকে বাংলাদেশ যে রাডার কিনছে, তার সঙ্গে আইএলএস প্রযুক্তিও দেশে আসবে। তবে এ প্রক্রিয়া শেষ হতে এখনও সময় লাগবে। থ্যালাসের যে রাডার শাহজালালে বসবে, সেটি প্রস্তুত হয়ে কাজ শুরু করতে সময় লাগবে ২০২৪ সাল।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশনস বিভাগের সদস্য চৌধুরী এম জিয়া উল কবির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কুয়াশায় ফ্লাইট ডিজরাপশন ঠেকাতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। যেটা আগে হয়েছিল, সেটা যেন না হয়, সে বিষয়ে প্রিভেন্টিভ মেজার্সগুলো তারা নিচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর