নরসিংদী সদরের আলোকবালি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তারের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে।
আলোকবালি ইউনিয়নের নেকজানপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে নিউজবাংলাকে জানান সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম।
নিহতরা হলেন ৪৫ বছর বয়সী আমির হোসেন, ২২ বছর বয়সী আশরাফুল হক ও ৫০ বছর বয়সী খুশি বেগম।
স্থানীয় লোকজন জানান, ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দীপুর সমর্থকদের বাড়িতে গিয়ে হামলা করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদউল্লাহর সমর্থকরা। এ সময় দীপু গ্রুপের তিন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। আহত হন অন্তত ৩০ জন।
আলোকবালিতে নির্বাচনি সহিংসতায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর টেঁটাবিদ্ধ সমর্থক
আহতদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েকজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি জানান, মরদেহগুলো নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর হস্তান্তর করা হবে।
আসাদউল্লাহ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে নামেন। পরে দলীয় চাপে ২৬ অক্টোবর তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।
তার মনোনয়ন প্রত্যাহারে দীপুর সমর্থকরা দুপুরে আনন্দ মিছিল বের করলে আসাদউল্লাহর সমর্থকদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ও গুলি ছোড়ে। এতে দুই পক্ষেরই পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী দীপু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পূর্বের সংঘর্ষের জেরে আসাদউল্লাহর সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করে। আমরা বুধবার রাতেই নরসিংদী থানা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। আজ সকালে তাদের আলোকবালি আসার কথা ছিল। তবে পুলিশের উপস্থিতির আগেই তারা অতর্কিত হামলা চালায়।’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আসাদউল্লাহকে ফোন দেয়া হলে তিনি ধরেননি।