বরিশালের কাউনিয়ার মহাশ্মশানে অনুষ্ঠিত হয়েছে পরলোকগতদের মঙ্গল কামনায় উৎসব শ্মশান দিপাবলী।
ভূত চতুর্দশী পূণ্য তিথিতে আয়োজিত এ উৎসব মহাশ্মশানটিতে প্রায় ২০০ বছর ধরে হয়ে আসছে। এই বছর বুধবার সকালে শুরু হওয়া তিথির স্থায়ীত্ব হবে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত।
নগরীর কাউনিয়াতে ৫ একর ৯২ শতক জমিতে গড়ে তোলা মহাশ্মশানের এ উৎসব উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ হিসেবে দাবি করা হয়। বরিশাল নগরীর গোড়াপত্তনের সময়ই এই মহাশ্মশানের সৃষ্টি। সেই হিসাবে প্রায় ২০০ বছর ধরে এখানে এ উৎসব উদযাপন করা হচ্ছে।
মহাশ্মশানটিতে প্রায় ৬৫ হাজার কাঁচা ও পাকা সমাধি রয়েছে। বুধবার এখানে বিভিন্ন বয়সের মানুষ তাদের মৃত স্বজনের আত্মার শান্তি কামনা ও শ্রদ্ধা জানাতে সমাধিতে আলো জ্বালিয়ে প্রার্থনা করেন।
মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তমাল মালাকার জানান, এখানে ৯১২টি সমাধি রয়েছে, যাদের কোনো স্বজন দেশে থাকেন না। সেই সব সমাধিগুলোতে কমিটির পক্ষ থেকে সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়।
শ্মশান রক্ষা কমিটির সভাপতি মানিক মুখার্জী জানান, শ্মশান দিপাবলী উৎসব নির্বিঘ্নে শেষ করতে তিন স্তরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক কাজ করেছেন।
উৎসব চলার সময় মহাশ্মশান পরিদর্শন করেন বরিশাল প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।