বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যৌন হয়রানি রোধে সুপ্রিম কোর্টে কমিটি গঠন

  •    
  • ৪ নভেম্বর, ২০২১ ০০:৫২

কর্মস্থল ও শিক্ষাঙ্গনে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধের জন্য দিকনির্দেশনা চেয়ে ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট জনস্বার্থে একটি রিট আবেদন করা হয়। ওই রিটের শুনানি শেষে ২০০৯ সালের ১৪ মে হাইকোর্ট রায় দেয়। রায়ে হাইকোর্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যমসহ সব প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি’ গঠনের আদেশ দেয়।

যৌন হয়রানি-সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ, প্রাপ্ত অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধান ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ দেয়ার জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথকে সভাপতি করে কমিটির সদস্য করা হয়েছে বিচারপতি কাজী জিনাত হক, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার বদরুল আলম ভূঞা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট তামান্না ফেরদৌসকে।

সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এ-সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরের ২৮ অক্টোবরের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপযুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নম্বর ৫৯১৬/২০০৮-এ ১৪/০৫/২০০৯ সালে প্রদত্ত রায়ের নির্দেশনা প্রতিপালনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে যৌন হয়রানি-সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ, প্রাপ্ত অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধান ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ দেয়ার নিমিত্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কর্মস্থল ও শিক্ষাঙ্গনে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধের জন্য দিকনির্দেশনা চেয়ে ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট জনস্বার্থে একটি রিট আবেদন করা হয়। ওই রিটের শুনানি শেষে ২০০৯ সালের ১৪ মে হাইকোর্ট রায় দেয়। রায়ে হাইকোর্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যমসহ সব প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি’ গঠনের আদেশ দেয়।

রায়ে বলা হয়, ‘কমিটিতে কমপক্ষে পাঁচজন সদস্য থাকবেন। কমিটির বেশির ভাগ সদস্য হতে হবে নারী এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বাইরে থেকে দুজন সদস্য নিতে হবে। সম্ভব হলে একজন নারীকে কমিটির প্রধান করতে হবে।’

একই বিষয়ে বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নী ২০১০ সালের ২ নভেম্বর জনস্বার্থে হাইকোর্টে আরেকটি রিট করেন। এসব রিট থেকে কমিটি গঠনের নির্দেশনা আসে। এরপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি রোধে কমিটি গঠন করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর