বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৭ নির্দেশনা

  •    
  • ৪ নভেম্বর, ২০২১ ০০:৪০

করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় দুই বছর ক্ষতির পর আগামী বছরের শুরু থেকেই যেন শিক্ষা কার্যক্রম পুরোমাত্রায় সচল ও নির্বিঘ্ন করা যায়, সে জন্য প্রস্তুতিমূলক এসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ২৭ দফা নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের নানা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ এসব নির্দেশনা দেয়া হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলমের সই করা এসব নির্দেশনা বুধবার জারি করা হয়। এতে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শূন্যপদ পূরণ ও প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যাপারেও বলা হয়েছে।

নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে অনলাইনে পাঠদানের সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, শ্রেণিকক্ষে সরাসরি পাঠদানে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, এসআরএমের সঠিক ব্যবস্থা এবং ব্লাকবোর্ড, হোয়াইটবোর্ড, স্মার্টবোর্ডসহ উপকরণের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

এ ছাড়াও নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করা, শূন্যপদের ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে। পিটিআই, মাঠপর্যায়ের দপ্তর ও বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবকাঠামো ও বিভিন্ন নির্মাণের ক্ষেত্রে পুরাতন অবকাঠামো বিধিগতভাবে নিষ্পত্তি করা, গুদামে থাকা পুরাতন আসবাবসহ মালপত্র ও যানবাহন নিষ্পত্তি করা স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণে ইনভেন্টরি রেজিস্টার সংরক্ষণ ও হালনাগাদ করতে হবে।

সরকারি জমির ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ, শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে চাহিদা নিরূপণ এবং নির্মাণকাজেররিয়ালটাইম মনিটরিং করা এবং নির্মাণ বাস্তবায়ন শেষে সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে এ নির্দেশনায়।

শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার রোধে বাস্তবমুখী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের পাশাপাশি প্রকল্পের আওতায় সব উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ম অনুযায়ী বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়েছে নির্দেশনায়। বিশেষ করে পার্বত্য জেলায় ছাত্রাবাসের ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে বলেছে মন্ত্রণালয়।

একই সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষাক্রম বিস্তরণ ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনার অগ্রগতি মনিটরিং, পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষক সহায়িকা যুগপৎভাবে প্রণয়ন ও বিতরণের ব্যবস্থা করা, পাঠ্যপুস্তকের বাংলা থেকে ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ সহজতর ও বোধগম্য করা। শিক্ষা চ্যানেল ও কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে পাঠাদান সম্প্রচারের আওতা বাড়াতেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর ২০২০ সালের ১৭ মার্চ সারা দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। এর প্রায় দেড় বছর পর গত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজে ক্লাস শুরু হয়। তবে প্রতিদিন সব শ্রেণিতে ক্লাস হচ্ছে না।

চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও সমমানের ইবতেদায়ি পরীক্ষা এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে আগামী বছরের শুরু থেকেই যেন শিক্ষা কার্যক্রম পুরোমাত্রায় সচল ও নির্বিঘ্ন করা যায়, সে জন্য প্রস্তুতিমূলক এসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

এ বিভাগের আরো খবর